পাপিয়া ও সুমনের বিরুদ্ধে সোয়া ৬ কোটি টাকার মামলা দুদকের

|

শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান

আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

মঙ্গলবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত বহির্ভুত সম্পদ আর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া, সাধারণ সম্পাদক, যুব আওয়ামী মহিলা লীগ, জেলা নরসিংদী, স্বামী- মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন এবং মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওয়েষ্টিন হোটেলে প্রেসিডেনসিয়াল স্যুট এবং চেয়ারম্যান স্যুটসহ ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেষ্টুরেন্ট খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট ৩,২৩,২৪,৭৬০.৮১ টাকার বিল পাপিয়া নিজেই ক্যাশে পরিশোধ করেন।

পাপিয়া বিলাস বহুল জীবন যাপন পছন্দ করতো বিধায় ওয়েষ্টিন হোটেলে থাকাবস্থায় সে প্রায় ৪০,০০,০০০ টাকার শপিং করেছে বলে সে জানায় র‍্যাব। গত ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত ০৫ বছর মাসিক ৫০,০০০ টাকা হারে ৩০,০০,০০০ টাকা বাসা ভাড়া দিয়েছে সে। গাড়ির ব্যবসায় ১,০০,০০,০০০ টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশানে ২০,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেছে।

বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে ৩০,৫২,৯৫৮ টাকা জমা আছে। র‌্যাব তার বাসা থেকে ৫৮,৪১,০০০ টাকা উদ্ধার করেছে। মফিজুর রহমান সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের একটি গাড়ি আছে যার দাম ২২,০০,০০০ টাকা। এভাবে মোট ৬,২৪,১৮,৭১৮ টাকা জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জন পূর্বক তা খরচ করেছে তারা।

এসব টাকা অজর্নে স্বপক্ষে কোনরুপ বৈধ উৎস তারা দেখাতে পারেনি। বর্ণিত পরিমাণ সম্পদ অর্জনের আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোনরূপ দালিলিক রেকর্ডপত্রাদি/প্রমাণাদি উপস্থাপন না করায় ৬,২৪,১৮,৭১৮ টাকার সম্পদ তাদের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ বলে প্রমাণিত হয়। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ’২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এই মামলাটি দায়ের করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply