সারাদেশে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত, ভাইরাস থেকে মুক্তিতে ফরিয়াদ

|

সারাদেশেই মসজিদে মসজিদে আদায় হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত। নামাজ শেষে করোনা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ দোয়া ছাড়াও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। তবে করোনার কারণে মুসল্লিরা কোলাকুলি থেকে বিরত ছিলেন।

চট্টগ্রামে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে আটটায়। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ জামাতে অংশ নেন মুসল্লিরা। মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডেই ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করে সিটি করপোরেশন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মসজিদে মসজিদে মোতায়েন ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।

খুলনায় সকাল ৮টায় প্রথম এবং প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় নগরীর টাউন হল জামে মসজিদে। একই মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও ৯টি উপজেলার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

সকাল ৮টায় রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম দরগা মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদে একটিমাত্র জামাত হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেননি অনেক মুসল্লি। এরআগে সকাল সাতটায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে। নামাজ শেষে আত্মত্যাগের মহিমায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পশু কোরবানি করেছেন নগরবাসী। তবে, সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত কোন স্থান না থাকায় সুবিধাজনক স্থানে কোরবানি করা হচ্ছে।

সিলেটে সকাল সাতটায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে। প্রধান জামাত হয় হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে। মসজিদের গেটে জীবানুনাশক স্প্রে করে ঢোকানো হয় মুসল্লিদের। তবে মুসল্লি বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মানা সম্ভব হয়নি। মোনাজাতে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।

বরিশালে সকাল আটটায় কালেক্টরেট জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রধান ঈদ জামাত। মসজিদের প্রবেশপথে জীবানুনাশক ছিটানো হয়। জামাত শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply