নির্বাচন পেছানোর নজিরবিহীন দাবি তুলে তুমুল সমালোচনার মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প

|

আবারও বর্ণবাদে উস্কানির অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন মহামন্দার পর সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। এপ্রিল থেকে জুন, তিন মাসে রেকর্ড কমেছে প্রবৃদ্ধি। গেলো সপ্তাহেই বেকারভাতার নতুন আবেদন করেছেন ১৪ লাখের বেশি মার্কিনী। এরমধ্যেই নির্বাচন পেছানোর নজিরবিহীন দাবি তুলে তুমুল সমালোচনার মুখে ব্যাখ্যা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ প্রশ্নে নিজের দল রিপাবলিকান পার্টি থেকেই বিরোধিতার মুখে তিনি।

মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, দীর্ঘ লকডাউনে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক বিপর্যয়- সবমিলিয়ে নির্বাচনের আগে ভালোই চাপে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অবস্থায় নভেম্বরের নির্বাচন পেছানোর দাবি তুলেছেন তিনি। অবশ্য, অজুহাত দিয়েছেন ভোট জালিয়াতির।

ট্রাম্পের দাবি, মেইল-ইন ভোটে কারচুপির শঙ্কায় নির্বাচন পেছাতে চান তিনি। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা মহামারি ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে ভোটারদের মুখোমুখি হতে ভীত প্রেসিডেন্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “নির্বাচন আমিও চাই। নির্দিষ্ট সময়েই চাই। কিন্তু আমি ভোটারদের দেখতে চাই। চলমান পরিস্থিতিতে মেইল-ইন ভোট হলে কার কাছে ব্যালট যাচ্ছে, কে ভোট দিচ্ছে- কিছুই জানা যাবে না। কোটি কোটি ব্যালট বাড়িতে বাড়িতে পাঠিয়ে তিন মাস অপেক্ষা করে দেখা যাবে ব্যালট গায়েব। এই মেইল-ইন ভোটিং তো জালিয়াতির সুযোগ আরও সহজ করে দেবে।”

যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে কখনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পেছানোর নজির নেই। ট্রাম্পের প্রস্তাবে, তাই স্বাভাবিকভাবেই বিরোধিতা করছেন সবাই। নিজ দলেও তীব্র সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট।

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিল ব্যারো বলেন, “নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা চলছে বলে এপ্রিলেই ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন শঙ্কা জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সে আশঙ্কা সত্যি হলো। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট নিতে পারেন না। নভেম্বরে নির্বাচন নিশ্চিতে প্রচুর পরিমাণে মেইল ব্যালট লাগবে। সেজন্য অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে আরও বাড়তি তহবিল লাগবে। কিন্তু এটা থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় নির্বাচন পেছানো হতে পারে না।”

মহামারির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায়, মেইল-ইন ভোটের দাবি তুলেছে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি দুপুরে শেষ হবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বর্তমান মেয়াদ, যা বাড়ানোর কোনো বিধান নেই মার্কিন সংবিধানে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply