অভিনেত্রীকে জোর করে চুম্বন, অশ্লীল ছবি পাঠানো… বিতর্কের অপর নাম মিকা?

ইন্ডাস্ট্রিতে গায়ক হিসেবে নাম করেছেন ভালোই। তবে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না গায়ক মিকা সিংয়ের। কখনও রাখি সাওয়ান্তকে জোর করে চুমু, আবার কখনও বা নাবালিকাকে অশ্লীল ছবি পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে মিকা সিংয়ের বিরুদ্ধে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

মিকা পাঞ্জাবের গুরুদ্বারে দীর্ঘদিন গান গেয়েছেন। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৬ সাল থেকে। ‘আপনা স্বপনা মানি মানি’ থেকে হালফিলে ‘সিম্বা’ ছবির ‘আখ মারে’— মিকা সুপারহিট। তার লাইভ অনুষ্ঠান মানেই প্রচুর লোক, শিসধ্বনি আর নাচ। পার্টি সংয়ের রাজা তিনি।

কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বারে বারে এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন যে, বারেবারেই পেজ থ্রি’র হেডলাইন দখল করেছে তার নাম। নিজের জন্মদিনের পার্টিতে রাখি সাওয়ান্তকে আচমকাই সবার সামনে জোর করে চুমু খেয়েছিলেন মিকা। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। রাখি তো রীতিমতো শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন মিকার বিরুদ্ধে। মিকা বলেছিলেন রাখিকে নাকি তিনি ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েছিলেন।

এছাড়া এক অটোকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় অটোতে বসে থাকা যাত্রীরাও বেশ আহত হয়েছিলেন। শুধু জোর করে চুমু খাওয়াই নয়। বলিউডে ব্রেক দেওয়ার নাম করে দুবাইয়ের ১৭ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে অসভ্য আচরণ এবং অশ্লীল ছবি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। জল গড়িয়েছিল পুলিশ অবধি। মিকার বিরুদ্ধে সেই মামলা আজও চলছে।

গায়কের মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমে যদিও দাবি করেন, “এ অভিযোগ মিথ্যে। পুলিশের সঙ্গে সব রকম সহায়তাই করছেন মিকা। সত্যিটা খুব শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে।” কিন্তু বিতর্ক কি আর চেপে রাখা যায়?এখানেই শেষ নয়। মিকার জীবনে ঝামেলার তালিকা অনেকটাই লম্বা। তিনি যে বদরাগী, সে কথা তার ঘনিষ্ঠরাও একবাক্যে স্বীকার করে নেন।

২০১৫ সালে এক লাইভ অনুষ্ঠানে এক ডাক্তারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। হঠাৎই সেই ডাক্তারকে সকলের সামনে সপাটে চড় মেরে দেন মিকা। চড় এত জোরে ছিল যে, সেই ডাক্তারের কানেরও বেশ ক্ষতি হয়েছিল।

রেগে যাওয়া বা জোর করে চুমুই নয়, তালিকায় রয়েছে অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা বহন করার অভিযোগও। ২০১৩ সালে সে জন্য মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ১২ হাজার মার্কিন ডলার বহন করছিলেন তিনি। এক সঙ্গে এত বিদেশি মুদ্রা বহন করার অনুমতি না থাকায় মিকা গ্রেফতার হন।

ইউএইস/