দেশে সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতাল বিমুখ করোনা রোগীরা

|

দেশে নতুন সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা কমছে প্রতিনিয়ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অর্ধেক। তবে বিল-ভাতা বন্ধ নেই, করোনা চিকিৎসার জন্য চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি হাসপাতালগুলো। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, বাড়তি খরচ এড়াতে এসব হাসপাতালের ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার।

ঢাকার রেলওয়ে হাসপাতাল। কোভিড চিকিৎসায় সরকারি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বর্তমানে রোগীশূন্য হাসপাতালটি। নতুন করে ভর্তিও নেয়া হচ্ছে না। দুএকজন আসলে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার কোভিড ইউনিটের বেডও ফাঁকা।

সরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে বেসরকারি হলি ফ্যামিলি হাসপাতালেও। আইসিইউতে চাপ থাকলেও অন্যান্য বেড ফাঁকা। ৪২০ বেডের মধ্যে রোগী ভর্তি ১৩৮ জন।

কোভিট চিকিৎসায় চুক্তিবদ্ধ অন্য হাসপাতালটির অবস্থাও একই। পাশাপাশি ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতেও এই রোগীর সংখ্যা কমেছে। যদিও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন কয়েক হাজার বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃদু সংক্রমণ ও হাসপাতালে সেবা না পাওয়ার ভীতি এর অন্যতম কারণ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ড. আয়েশা আক্তার বলেন, রোগী না থাকলেও কোভিড চিকিৎসায় জড়িত চিকিৎসক-কর্মচারীর সুরক্ষা খরচ মেটাতে হচ্ছে। পাশাপাশি দিতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ। এরিমধ্যে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালকে দশ কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করেছে সরকার। তাই খরচ কমিয়ে আনতে এসব হাসপাতালের বিষয়ে নতুন করে ভাবছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. আবরদুল মান্নান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে সারাদেশে ৮ হাজার সাধারণ বেডের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারই ফাঁকা। ফাঁকা আছে আইসিইউতেও।

ইউএইস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply