বেইজিং-এ বিশ্বাস নেই, লাদাখে চলছে ভারতীয় মহড়া

|

রাতের আঁধারে এখনো লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চলছে ভারতের মহড়া। সোমবারই, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপে সেনা পেছানোর ব্যাপারে সম্মত হয় দেশটি।

দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দাবি, যেকোন পরিস্থিতিতে অবস্থান নেয়ার জন্যেই চলছে মহড়া। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের বক্তব্য- এতো সহজে প্রতিবেশীকে বিশ্বাস করা ঠিক নয়, বহাল থাকুক নজরদারি।

অথচ সোমবারই, ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ফোনালাপে পৌঁছান ঐক্যমতে। জানান- নিয়ন্ত্রণরেখার প্রতি চূড়ান্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক বহাল থাকবে নজরদারি। তবে, বিরোধ এড়াতে কমানো হবে সেনা উপস্থিতি।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, কমান্ডার লেভেলে ৩০ জুন তৃতীয় দফা বৈঠক হয় দু’দেশের। সেখানে, আগের দুটি বৈঠকের শর্তগুলো আমলে নিতে আসে ঐক্যমত। সীমান্তে টানাপোড়েন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। প্রত্যাশা- ভারতও এগুবে শান্তির পথে। তবে, নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা নিরসনে বহাল থাকবে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের আলোচনা।

অবশ্য, প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না মোদি প্রশাসন। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের পরামর্শ- আগ্রাসন মোকাবেলায় সীমান্তে রাখা উচিৎ কড়া নজরদারি।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পি কে সেহগাল বলেন, টানা ৮ সপ্তাহ সীমান্তে টানাপোড়েনের পর, সোমবার দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। উভয়পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পেছাবে সেনাবহর। কিন্তু, বেইজিংকে এতো সহজে বিশ্বাস করা উচিৎ হবে না দিল্লির। ড্রোন, স্যাটেলাইট এবং ঘটনাস্থলে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে নিশ্চিত করতে হবে প্রত্যাহারের বিষয়টি।

সীমান্ত সংঘাতের জেরে বেইজিংয়ের ৫০টি বাণিজ্য প্রকল্প পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছে দিল্লি। এর আগে, ভারতে নিষিদ্ধ করা হয় চীনের ৫৯টি অ্যাপস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply