হংকং’র নিরাপত্তা আইন নিয়ে ক্ষুদ্ধ পশ্চিমা বিশ্ব, চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউ’র হুমকি

|

হংকংয়ে কার্যকর হওয়া চীনের নতুন নিরাপত্তা আইনকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ পশ্চিমা বিশ্ব। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক অবরোধ এমনকি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিচ্ছে ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশাল বাজার এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে অবরোধ আরোপ খুব বেশি কার্যকর হবে না; চীনের আগ্রাসনকে ঠেকাতে হলে প্রয়োজন আরও কঠোর কোনো ব্যবস্থা।

অন্যদিকে, নতুন নিরাপত্তা আইন কার্যকর হবার পর থেকেই মারমুখি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিক্ষোভ দমাতে টিয়ারগ্যাসের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় জলকামান। চলে গ্রেফতারও। এরইমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন শতাধিক বিক্ষোভকারী। হংকংয়ে নিরাপত্তা আইন কার্যকরের ঘটনায় চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হুশিয়ারী পশ্চিমাবিশ্বের।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, বেইজিং এর সিদ্ধান্ত, চীন-বৃটিশ ঐতিহাসিক চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। কোনোভাবেই চীনের এমন আগ্রাসন মেনে নেয়া যায় না। আমাদের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার, যদি চীন এমন আচরণ থেকে সরে না আসে তাহলে দেশটির নাগরিকদের ব্রিটেনের সাথে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।

রিপাবলিকান সিনেটর মিচেল ম্যাককল বলেন, এটা গণতন্ত্র এবং একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই। এই যুদ্ধ ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং শোষনের বিরুদ্ধে। তাই আমাদের এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।

লন্ডনের এশিয়া বিষয়ক গবেষক ফ্রেডারিক ওয়েই বলেন, চীনের এমন সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়বেই। এ অবস্থা থেকে দেশটিকে নিবৃত্ত করতে কার্যকর এবং কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র কিছু কড়াকড়ি বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে, তবে সেটা খুব বেশি ফলপ্রসু হবে না। কারণ এরআগেও দেশটি চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো, তবে তাতে কার্যকর কোনো ফল হয়নি।

তবে, বেইজিং জানিয়েছে- নতুন আইন অনুসারে হংকং নিরাপত্তা সংস্থার গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনদের বিচার এখন থেকে হবে চীনের মূল ভূখণ্ডে। আইনে প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্যে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে রয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply