করোনায় প্রযুক্তির ব্যবহার: স্বস্তির পাশাপাশি আতঙ্কও বাড়ছে

|

করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাসে যাওয়া বারণ। তাই জাপানের বিজনেস ব্রেকথ্রো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের বিশেষ দিনে শিক্ষার্থীর পরিবর্তে গাউন পরে ক্যাম্পাসে হাজির রোবট। ভিডিও কলে সেই রোবটে যুক্ত ছিলেন শিক্ষার্থী। গ্রহণ করছেন শিক্ষা সনদ।

দীর্ঘ লকডাউনে রোবটের এমন ব্যবহার হয়েছে অনেকক্ষেত্রেই। করোনা পরিস্থিতিতে সংস্পর্শ এড়ানোর জন্য বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। অনেক দেশে করোনার জীবানুনাশক ছিটাতে রোবটই ছিলো প্রধান ভরসা। হাসপাতাল, বিমানবন্দর, শপিংমলসহ জনসমাগম বেশি- এমন জায়গায় হরেক রকম রোবট আর ড্রোনের চাহিদা আকাশচুম্বী।

পাবলিক প্লেসে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতেও রোবট ব্যবহারে সাফল্য পেয়েছে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পরিবর্তন এসেছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়। ক্রেতা টানতে খাবার পরিবেশনায় ভিন্নধর্মী সব পরিবর্তন এনেছেন ব্যবসায়ীরা।

করোনার কারণে এমনিতেই বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ চাকরি হারানোর শঙ্কায়। সেখানে রোবট কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন ব্যবহার সাময়িক স্বস্তি দিলেও বেকারত্বের সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মত বিশ্লেষকদের।

প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে মাস্কেও। ইন্দোনেশিয়াতে বোবা ও বধিরদের জন্য স্বচ্ছ প্লাস্টিক জানালা সমৃদ্ধ মাস্ক তৈরি করেছেন এক নারী। মাস্ক পরেই খাওয়া যাবে। এমন ভিন্নধর্মী উদ্ভাবন দেখা গেছে ইসরায়েলেও।

দূর থেকে করোনা ভাইরাস শনাক্তে প্রযুক্তির দারুণ সব ব্যবহার দেখেছে বিশ্ব। চশমা কিংবা হেলমেট দিয়ে জনসমাগমে চলছে করোনা শনাক্তকরণ। দক্ষিণ কোরিয়া, আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে দেখা মিলেছে ভিন্নধর্মী এই চশমা ও হেলমেটের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply