যুক্তরাজ্যে করোনার আরেকটি প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু

|

করোনার অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের দাবি ক্যালিফোর্নিয়ার বায়োটেক সংস্থার

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির পর যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের আরেকটি প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন। কয়েক সপ্তাহে প্রায় তিনশ স্বেচ্ছাসেবকের দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে।

প্রাণিদেহে সফল পরীক্ষার পর এবারই মানবদেহে প্রথম ধাপের ট্রায়াল হচ্ছে। এটি সফল হলে অক্টোবরে দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে অংশ নেবেন ছয় হাজার মানুষ। সব ঠিক থাকলে ২০২১ সালের শুরুতে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনটি বাজারজাত হবে।

এর আগে বুধবার আফ্রিকায় করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের প্রথম হিউম্যান ট্রায়াল সম্পন্ন করেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। এর আওতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় দু’হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এক বছর পর্যবেক্ষণে থাকবেন তারা। একইদিন ব্রাজিলে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে ভ্যাকসিনটির হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করে অক্সফোর্ড। ডোজ ভেদে সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়ে সারা বিশ্বে কোভিড নাইনটিনের প্রতিষেধক তৈরিতে ১২০টির মতো কর্মসূচি চলছে।

‘প্রতি লিটারে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির পথে রয়েছে গবেষকরা’- জানিয়ে ইম্পেরিয়াল কলেজের ভ্যাকসিন ট্রায়াল রিসার্চ সেন্টারের প্রধান রবিন শ্যাটক জানান, ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা যদি প্রমাণ হয় তাহলে সারা পৃথিবীতে এটি পৌঁছে দেয়া খুবই সহজ একটি কাজ। এমনিক এটি উৎপাদন বা মজুদে নতুন কারখানা বা গুদামেরও প্রয়োজন হবে না বলেও জানান তিনি।

উইটস ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক শাবির মাধি বলেন, ভাইরাসটি নির্মূল করা যাবে না। তবে ভাইরাসটির বিস্তার বাধাগ্রস্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, কোনো অঞ্চলে ৬০ শতাংশ মানুষের দেহে ভাইরাসটি প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হলে এর বংশবিস্তারের গতি কমবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply