চীনে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস

|

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিল পাস করলো যুক্তরাষ্ট্র। জিনপিং প্রশাসনের দাবি, চীনে প্রভাব বিস্তারে ব্যর্থ হয়েই ট্রাম্প সরকারের এটা নতুন পদক্ষেপ।

উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরণেই সরব যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। তারই ধারাবাহিকতায় চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল পাস হয় গেল সপ্তাহে, যাতে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। চীনকে কড়া বার্তা দেয়ার লক্ষ্যে করা আইনটিতে বলা হয়, জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো ধরণের আগ্রাসন চালানো হলে তার সাথে জড়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে।

এ ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বেইজিং। চীনের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়েই দেশটির এমন সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ চীনের।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, জিনজিয়াংয়ে আমাদের অবস্থান কোনো জাতিগোষ্ঠী বা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। বরং এটি উগ্রবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তাই জিংজিয়াং এবং উইঘুর ইস্যুতে চীনকে জড়িয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই। চীনের অভ্যন্তরীন ইস্যুতে হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই আইন পাশ করেছে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। বর্ণবাদী বৈষম্য আর অশ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় যখন ক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রেই, তখন অন্যরাষ্ট্রে একই ইস্যুতে এমন অবস্থান নেয়াকে দ্বিমুখী আচরণ বলছেন তারা।

এক্সটারন্যাডো ইউনিভার্সিটি অব কলম্বিয়ার গবেষক অধ্যাপক ডেভিড ক্যাস্ট্রিলন বলেন, এমন একটা সময়ে এই বিল পাশ করা হলো যখন আফ্রো-আমেরিকান বংশোদ্ভুতদের ওপর নির্যাতন আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যুক্তরাষ্ট্রেই যেখানে অশ্বেতাঙ্গদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে সেখানে এই ইস্যুতে অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করছে দেশটি। তাই আরেক দেশের অভ্যন্তরীন ইস্যুতে নাক গলিয়ে ওয়াশিংটনের উচিত নিজের পরিস্থিতি সামাল দেয়া।

জাতিসংঘ বলছে, চীনের উইঘুরে নির্যাতনের শিকার অন্তত ১০ লাখ মুসলমান। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বেইজিং।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply