দিনের পর দিন আলাদা ঘরে থাকছেন ট্রাম্প-মেলানিয়া!

|

বিলাসবহুল প্রাসাদ হোয়াইট হাউসে আলাদা ঘরে থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর হলেও তারা আলাদা আলাদা কক্ষে থাকেন। আচরণ ও রুচিগত নানা কারণে তারা নাকি আলাদা থাকেন!

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গলফ খেলতে ভালোবাসেন কিন্তু মেলানিয়ার সেটা ততটা পছন্দ নয়। স্বামী-স্ত্রী দুজন একই বাসায় থাকলেও অনেক দিনই হয়তো তাদের মুখ–দেখাদেখি পর্যন্ত হয় না। দু’জনেই আইসোলেশনে থাকতে পছন্দ করেন। স্বামী-স্ত্রী হলেও দুজনের একাকী জীবন। আর এই একাকী জীবন নিয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংসার।

ওয়াশিংটন পোস্টের পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক ও লেখক মেরি জর্ডান মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের জীবন নিয়ে ‘দ্য আর্ট অব হার ডিল: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব মেলানিয়া ট্রাম্প’ নামে একটি বই লিখেছেন। ওই বইয়ে মেলানিয়াকে নিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন লেখক মেরি। বইটি লেখার আগে লেখক মেলানিয়ার ঘনিষ্ঠজনসহ হোয়াইট হাউসের শতাধিক কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেন বলে জানা যায়।

বইয়ে মেরি উল্লেখ করেন, ট্রাম্প ও মেলানিয়া আলাদা আলাদা থাকলেও দু’জন দু’জনকে অনেক বিশ্বাস করেন। ট্রাম্পের বিশ্বস্ত মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু মেলানিয়াকে তিনি অন্ধের মতো বিশ্বাস করেন। এ কারণেই কোনো সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার পর প্রথম ফোনকলটি ট্রাম্প মেলানিয়াকেই করেন। মেলানিয়াও তাকে বিশ্বাস করেন। শুরু থেকেই তারা এমন চুক্তি করেছিলেন।

চুক্তিতে নাকি উল্লেখ ছিলো, ট্রাম্প নিজের মতো থাকবেন, নিজের কাজ নিয়ে থাকবেন এবং বেশিরভাগ সময় মেলানিয়াকে ছাড়াই নিজের মতো কাটাবেন। এই চুক্তিতে তারা এখনো আছেন। আর এতে স্লোভেনিয়ার এক সময়ের মডেল মেলানিয়াও সুখী।

বইয়ে মেরি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে আসতে মেলানিয়া অনেক দেরি করেছিলেন। কারণ, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে তার আগের চুক্তি পুনর্বিবেচনা করেছিলেন। তাছাড়া মেলানিয়ার জীবন নিয়ে বই লেখাটা সহজ ছিল না। তার ৩০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে বড় বড় মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, বিপজ্জনক মানুষের কাছাকাছি গেছেন কিন্তু মেলানিয়াকে নিয়ে সামান্য তথ্যও তিনি বের করতে পারছিলেন না। অথচ মেলানিয়া সব সময় মিডিয়ার সামনে আছেন।

ম্যানহাটনে ১৯৯৮ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মেলানিয়ার। নব্বইয়ের দশকে ট্রাম্প একদম আলাদা মানুষ ছিলেন। তার ছিল নারীকেন্দ্রিক জীবন। রাজনীতির ধারেকাছেও ছিলেন না তিনি। আকর্ষণীয় নারী ব্যাতীত তার তেমন কোনো চাহিদাও ছিল না। আর যেহেতু মেলানিয়া একজন মডেল, তারও বিত্তবান একজন মানুষের সহযোগিতা দরকার ছিল। এভাবেই দু’জন দু’জনের খুব কাছাকাছি চলে আসেন। ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার পাম বিচে ট্রাম্প-মেলানিয়া বিয়ে করেন। তাদের বিয়েতে বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটনও উপস্থিত ছিলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply