ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রাশেদ চিশতীর জামিন শুনানিতে চেম্বার আদালতের অপারগতা

|

অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক পরিচালক রাশেদুল হক চিশতীকে (রাশেদ চিশতী) দেয়া চার মামলায় জামিন বিষয়ে করা আপিল শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চাওয়া সংক্রান্ত আবেদনের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের ভার্চুয়াল চেম্বার জজ আদালত এ অপারগতা প্রকাশ করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আসামি পক্ষের আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন জানান, এখন নথি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। এরপর প্রধান বিচারপতি আরেকটি বেঞ্চে আবেদন চারটি শুনানির জন্য পাঠাবেন।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এ বিষয়ে দুদক থেকে লিভ টু আপিল আবেদন করা হবে। তিনি আরও জানান, মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদ চিশতী মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের পৃথক পাঁচটি মামলায় বিচারিক আদালত থেকে জামিন নেন। চারটিতে ঢাকার আদালত এবং একটি টাঙ্গাইলের আদালত জামিন দেন। এর মধ্যে চারটি মামলায় হাইকোর্টে জামিন বহাল থাকে এবং একটি মামলায় হাইকোর্ট জামিন আদেশ স্থগিত করেন। এর মধ্যে দুদক তিনটি মামলায় জামিন আদেশ বাতিল চেয়ে এবং রাশেদ চিশতী এক মামলায় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে চেম্বার কোর্টে আপিল করেন।

দুদক আইনজীবী বলেন, অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের অডিট ও ইসি কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল চিশতী এবং তার ছেলে ব্যাংকের সাবেক শেয়ারহোল্ডার রাশেদ চিশতীসহ পরিবার-স্বজনদের বিরুদ্ধে ১৭-১৮টি মামলা রয়েছে। হাইকোর্টে জামিনের জন্য আসা পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় এখনও চার্জশিট হয়নি। দুটি মামলা এখনও বিচারাধীন। অনিয়ম, জাল-জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিং মামলায় ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল থেকে বাবুল চিশতী ও রাশেদ চিশতী কারাগারে আছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply