কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর

|

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা সার্বিকভাবে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ কমছে। শ্বাস নিতে অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না, তবে গলার ব্যাথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। লিখে তিনি কথার উত্তর দেন।

সোমবার সন্ধ্যায় ডা. জাফরুল্লাহর গণমাধ্যম সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চিকিৎসকরা তাকে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। তার শরীরে করোনাভাইরাস ইনফেকশন নাই, তবে ব্যাকটোরিয়া ইনফেকশন আছে। তাকে আরো ৬ থেকে ৭ দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তবে তিনি মানসিকভাবে অনেক উজ্জীবিত রয়েছেন।

তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডা. জাফরুল্লাহ দেখা করতে গিয়ে তার চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদ কাছ থেকে শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত জানেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে তার নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তার করোনা পজিটিভ আসে।

গত শনিবার তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন বলে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিকে রেপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার। তিনি জানান, গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা অনেক দিন থেকে কিডনির অসুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply