৩ দিনে করোনায় আওয়ামী লীগের ৩ শীর্ষ নেতার মৃত্যু

|

গত তিন দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে আওয়ামী লীগের তিন শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার সকালে মারা যান আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, এদিন রাতে মারা যান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, দলের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ। পরের দিন রোববার রাতে মারা যায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।

মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে তিনজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোক বিরাজ করছে। নেতা কর্মীরা মনে করছেন এরকম শীর্ষ নেতাদের মৃত্যু দলের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে।

এরআগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১ জুন শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তির পরে করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে মোহাম্মদ নাসিমের। এরপর গত ৫ জুন ভোররাতে ব্রেন স্ট্রোক হয় তার। পরে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই গভীর অচেতন অবস্থায় ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। ভেন্টিলেশন মেশিনের সাহায্যে তিনি কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছিলেন। টানা ৮ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত শনিবার সকালে তিনি মারা যান।

গত ৫ জুন বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরআগে ২৭ মে তার স্ত্রী আসমা কামরান করোনায় আক্রান্ত হন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে গত ৬ জুন তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে ৭ জুন সন্ধ্যায় তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকে বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে এসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে তিনি মারা যান।

শনিবার সন্ধ্যার পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ একটু শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে রাত ১০ টার দিকে তাকে সিএমএইচ এ নেয়া হয়। রাতে পৌনে ১২ টায় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

এদিকে এখন পর্যন্ত সরকারের তিনজন মন্ত্রী ও সাত সাংসদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক মন্ত্রী ও এক সাংসদ।

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের সাংসদ রণজিত কুমার রায়, নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাংসদ এবাদুল করিম, জামালপুর-২ আসনের সাংসদ ফরিদুল হক খান, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। তাঁদের মধ্যে নওগাঁর শহীদুজ্জামান সরকার ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ’র মৃত্যুর পর করোনা শনাক্ত হয়।

টিবিজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply