লক্ষ্মীপুরে হিরা মনি ধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

|

লক্ষীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষীপুরে স্কুল ছাত্রী হিরা মনিকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচার দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। মানববন্ধনে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবীতে ২৪ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

শনিবার দুপুরে স্থানীয় পালের হাট বাজারে আধা ঘণ্টা সময়জুড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পালের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তর ছাত্র-ছাত্রী ফোরাম ও অল ইয়ুথ সোসাইটি নামের সংগঠন।

এদিকে এর আগে শুক্রবার রাতে হিরা মনিকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ছাত্রীর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আরিফ ও সুমন নামের দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তবে এখনো পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এসময় নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় খুব শীঘ্রই ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেফতারের বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন জেলার পুলিশ প্রধান।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা নেয়া হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

নিহতের মা ফাতেমা বেগম জানান, বছর খানেক আগে হিরা মনিকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে পার্শ্ববর্তী এলাকার অয়ন নামের একটি ছেলে উত্যাক্ত করে। বিষয়টি জানতে পেরে অয়নকে ডেকে এনে সতর্ক করেন হিরা মনির মা। তিন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির আটককৃত সুমন নামের এক যুবকের কাছে আসা যাওয়া করছিলেন অয়ন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হিরামনির বাবা হারুনুর রশিদ ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকায় তার চিকিৎসা চলছে ঢাকায়। এ সুবাদে তার দেখভালের জন্য পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকে। হিরামনি তাদের পাশেই নানার বাড়িতে থাকে। স্থানীয় পালের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে।

ঘটনার দিন বাবাকে দেখতে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে নানাবাড়ি থেকে একা নিজ বাড়িতে প্রায়োজনীয় জামা কাপড় নিতে আসে সে। দুপুরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় কে বা কাহারা। পরে তার নানার বাড়িতে না ফেরায় তাকে নিতে এসে বিবস্ত্র ও মৃত দেখতে পান স্বজনরা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply