বরগুনায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়ের ঘটনায় ৩ জন আটক

|

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনায় নারী সহযোগীসহ প্রতারণার মাধ্যমে যুবককে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হচ্ছে, কথিত সাংবাদিক মিজানুর রহমান সুমন গোলদার, চম্পা ও চম্পার মামাতো ভাই লিমন। একই সঙ্গে জিম্মি হওয়া মামুনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মামুন পাথরঘাটা উপজেলার তোফাজ্জেল মাস্টারের ছেলে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় বরগুনা পৌর শহরে কলেজ রোডে।

বরগুনা থানা সূত্র জানা যায়, সুমন গোলদারের ঘনিষ্ঠ বরগুনা পৌর শহরের পিটিআই এলাকার চম্পা নামের এক নারী পাথরঘাটার হরিণঘাটার মামুনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সখ্যতা তৈরি করে। এর সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে মামুনকে দেখা করার কথা বলে বরগুনায় ডেকে আনে চম্পা।

এরপর মামুনকে নিয়ে সে ক্রোক এলাকার লিমনের বাড়িতে নিয়ে লিমনের সহায়তায় একটি কক্ষে আবদ্ধ করে রাখে। সুমন গোলদার ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে মামুনকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তায় দুই দফায় সুমনের বিকাশ একাউন্টে ১২ হাজার টাকা দেয় মামুনের স্বজনরা। এরপরও সুমন ও চম্পা আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি মামুনের খালু জাকির হোসেন কালাম বরগুনা সদর থানা পুলিশকে জানান।

শুক্রবার বিকেলে বরগুনা ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিকের সামনে একটি দোকানে মামুনের পাঠানো টাকা বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউটের সময় সুমনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে পিটিআই সড়ক থেকে চম্পা ও ক্রোক থেকে লিমনকে আটক করে।

অভিযোগ রয়েছে সুমন গোলদার বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন নারীকে ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামুনের মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে আটক তিন জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply