করোনা আক্রান্তের তথ্য গোপন করে নামাজ পড়ালেন ইমাম; মুসল্লিরা কোয়ারেন্টাইনে

|

করোনা শনাক্তের খবর গোপন রেখে ইমাম নামাজ পড়ালেন মসজিদে

স্টাফ রিপোর্টার:

করোনা শনাক্তের খবর গোপন রেখে মাদারীপুরের শিবচরের এক ইমাম ২ দিন মসজিদে নামাজ পড়িয়েছেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসন তার বাড়ি লকডাউন করে এবং তাকে হোম আইসোলেশনে রাখে। এ ঘটনায় ইমামের সংস্পর্শে আসা অর্ধশত স্থানীয় ব্যক্তি, মুসল্লি ও তাদের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি ছিল শিবচরের কাদিরপুরের ওই ইমামের। এরপর তিনি গত ৩১ মে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। ৪ জুন পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয় এবং তাকে হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনো কিছু না মেনে এরপরও ২ দিন নিয়মিত নামাজ পড়িয়েছেন।

স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে এ খবর পেয়ে শনিবার রাতেই উপজেলা সহকারী কমিশনার এম রাকিবুল হাসান, ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ড. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস কাদিরুরে গিয়ে তার বাড়ি লকডাউন করেন ও তাকে হোম আইসোলেশনে রাখেন। ইমামের সংস্পর্শে আসা অর্ধশত স্থানীয় ব্যক্তি ও মুসল্লিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস বলেন, জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশি হলে ওই ইমাম নিজেই ঢাকায় গিয়ে করোনা টেস্ট করান। ৪ জুন তার করোনা ফলাফল পজেটিভ আসার পরও তিনি নামাজ পড়াচ্ছিলেন। এতে অর্ধশত স্থানীয়কে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

শিবচর থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা পজেটিভ হয়েও ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন। আমরা গত রাতে গিয়ে তাকে ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় মাদারীপুর জেলায় নতুন করে আরও ২০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন, কালকিনি উপজেলায় ১২ জন এবং শিবচর উপজেলায় ২ জন। এছাড়া একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৯৩।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply