২৪ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সেবা দিতে ৪টি হটলাইন চালু

|

দিন রাত ২৪ ঘণ্টা মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৪টি হটলাইন চালু হয়েছে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে। দেশে চলমান করোনা দুর্যোগে সাধারণ মানুষ যেন ঘরে বসেই চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারেন সে লক্ষ্যে টেলিমেডিসিনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিন। চিকিৎসকদের আরও তিনটি সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স-ও এই উদ্যোগে সহায়তা করছে। আর এতে সহায়তা করে সেবার পরিসর বাড়াতে এগিয়ে এসেছে শীর্ষ স্থানীয় তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি।

স্বাস্থ্যসেবা খাতের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এমপি। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া ঘরে থেকেই সোমবার (জুন ১, ২০২০) সেবার উদ্বোধন করে মন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে চিকিৎসক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, কেবল করোনা নয়, যেকোনো অসুস্থতায় চিকিৎসকের পরামর্শ মানুষকে আশ্বস্ত করে। চিকিৎসকের সাথে কথা বলার সুযোগ হলে মানুষের ঘর থেকে বের হতে হয় না। করোনার এ সময়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে চিকিৎসক সংগঠনগুলো দেশ এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে।

এ সময় চিকিৎসক নেতারা মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, হটলাইনের মাধ্যমে সাধারণ চিকিৎসকের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথেও কথা বলাও সুযোগ পাবে মানুষ। যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অথবা আইসোলেশনে থেকে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করছেন তারা প্রত্যেকেই এই কল সেন্টারে ফোন করে চিকিৎসা সেবাসহ প্রয়োজনীয় নানা পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন।
দিন রাত ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য চারটি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।

নম্বরগুলো হচ্ছে: ০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩-৭৯১১৩৯, ০১৩১৩-৭৯১১৪০।

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স এই টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করছে। টেলিমেডিসিন সেবা দেয়ার জন্য একটি কলসেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ উদ্যোগের হাসপাতাল পার্টনার হিসেবে রয়েছে এএমজেড হসপিটাল, বাড্ডা, ঢাকা।

কল সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য বিষয়ে সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি স্যেরর্ভিঁয়ে, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যাল এবং এরিস্টোফার্মা লিমিটেড। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য এ কাজে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পূর্ণ সহযোগিতা করছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply