ঢাবির সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা হচ্ছে

|

সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার রুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিনস কমিটির সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং শিক্ষা কারিকুলাম উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ন্যূনতম প্রিমিয়ামে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পেতে নীতিমালা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে সভাপতি করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ।

উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবীমায় অংশ নিতে হয়। এসডিজি অর্জন ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং উন্নয়নে এ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানানো হয়।

সভায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি গোল ও ১৬৯টি টার্গেটের মধ্যে কোনটি কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট কীভাবে অর্জন করবে তার একটি ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ডাটাবেজ প্রণয়নে অনুষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিন এবং ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সমন্বয় করবেন। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের দফতরে এই ডাটাবেজ জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত ঢাবির

সভায় করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ জানানো হয়। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান (বিভাগ/ইনস্টিটিউট) এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কী কী চাহিদা এবং ঘাটতি রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এই চাহিদা নির্ধারণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালক সমন্বয় করবেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান ও শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন এবং অধিকতর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য, বিভাগ/ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনা করে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে অনুষদের সুপারিশসহ যাবতীয় তথ্যাবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে ডিন/পরিচালকদের অনুরোধ জানানো হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply