শপিংমল-বাজার খোলা থাকবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত, থাকতে হবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা

|

৩০ মের পর আর বাড়ছে না সরকারি সাধারণ ছুটি। তবে ১৫ জুন পর্যন্ত জনগণের চলাচলে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। আজ দুপুরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ১৫ দফা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হাটবাজার, দোকান-পাটে ক্রয় বিক্রয়কালে পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনসমূহকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট এবং শপিংমলসমূহ আবশ্যিকভাবে বিকেল ৪ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

এদিকে প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা কালে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। প্রতিটি জেলার প্রবেশ ও বহির্গমন পথে চেকপোস্টের ব্যবস্থা থাকবে। জেলা প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে চলাচলে নিষেধাজ্ঞাকালে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮:০০ টা হতে সকাল ৬:০০ টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে সর্বাবস্থায়ই বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনি চলতে হবে। অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহণের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

নিষেধাজ্ঞা সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ক্লাস চলবে অনলাইনে। ব্যাংক চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে কাজ করার নির্দেশনার পাশাপাশি অসুস্থ্য, ঝুঁকিপূর্ণ ও সন্তান সম্ভাবা নারীররা কর্মস্থলে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ সময়ে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply