করোনা পরবর্তীতে টিকে থাকতে খরচ কমিয়ে যেভাবে বাড়াবেন সঞ্চয়

|

যে সব উপায়ে খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ান সম্ভব

সঞ্চয়

করোনাভাইরাস পরবর্তী পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে খরচ কমাতে হবে। অন্তত আগামী কয়েক বছর এই খরচের রাশ না কমালে সমস্যায় পড়বেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা। এরই মধ্যে বহু সংস্থাই ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছেন। অনেকে বেতন দিচ্ছেন ১০-৫০ শতাংশ কেটে। আগামী দিনে বেশ কিছু ছোট ব্যবসাও যে মুখ থুবরে পড়বে তার ইঙ্গিতও স্পষ্ট।

সবকিছুর পরও আর্থিক মন্দার হাত এড়িয়ে কেউই আর বাঁচতে পারবেন না। কাজেই বিপদ বেড়ে যাওয়ার আগেই খরচের হাত কমানো জরুরি। কিন্তু খরচ কমানোর কথা বললেই তা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন পড়ে কিছু নিয়ম মেনে চলার।

কীভাবে কমাবেন খরচ:

* যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকু খরচ করুন। আপাতত সমস্যা নেই বলে শৌখিন জিনিস কিনে পয়সার অপচয় করবেন না, কাল কেমন দিন আসছে কে বলতে পারে!

* গত দুমাসে ঘরোয়া খাবার খাওয়ার যে অভ্যাস গড়ে উঠেছে, তা বজায় রাখুন। তাতে স্বাস্থ্য যেমন ভাল থাকবে, খরচও কমবে।

* বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যান। অফিস ক্যান্টিনে খাওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে।

* জামাকাপড় যতটুকু না কিনলেই নয়, ততটুকুই কিনুন।

* রূপচর্চায় বেশি খরচ করার দরকার নেই। মুখের অর্ধেক তো ঢাকা থাকবে মাস্কে, মাথা ঢাকা থাকবে টুপি বা ওড়নায়। তা ছাড়া পার্লারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন না, যা থেকে করোনার ঝুঁকি বাড়ায়।

* কাটছাঁট করুন উপহারের বাজেটে। উৎসবে-অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়া-নেওয়ার পাট তুলে দিলেই সবচেয়ে ভাল।

* বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান অন্তত এই বছরের জন্য মুলতুবি রাখুন। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমানোর চেষ্টা করুন।

টাকা জমানোর পদ্ধতি:

* রোজগারের ৫-১০ শতাংশ অন্তত জমান। শেয়ার মার্কেট এখন খুব নড়বড়ে। কাজেই খুব অভিজ্ঞ না হলে ওই রাস্তায় না যাওয়াই ভাল। রেকারিং ডিপোজিট মোটের উপর নিরাপদ। সেখানে টাকা রাখতে পারেন। টাকা যেন সরাসরি মাইনে থেকে কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

* বিনিয়োগ করুন স্বাস্থ্যবিমায়।

* বেতন পাওয়ার পর বাড়ি ভাড়া, ইলেকট্রিক বিল, স্কুলের বেতন ইত্যাদি মিটিয়ে দিন প্রথমেই।

* যে টাকা রইল তার ১০ শতাংশ সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা রাখুন। বছরের শেষে প্রিমিয়াম দিতে বা কোনও দরকারে কাজে লাগবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply