জরিপে ভয়াবহ তথ্য, এক পিপিই বারবার পরতে বাধ্য হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৮৭ শতাংশ নার্স!

|

জরিপে ভয়াবহ তথ্য, এক পিপিই বারবার পড়তে বাধ্য হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৮৭ শতাংশ নার্স!

এক পিপিই বারবার পড়তে বাধ্য হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৮৭ শতাংশ নার্স!

করোনাভাইরাসের করাল গ্রাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশটির স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। দেশটির প্রায় একশ জনের মতো নার্স করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও কয়েক শত। সম্প্রতি এক জরিপে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ৮৭ শতাংশ নার্সই পিপিই ও এন-৯৫ মাস্কের মতো সুরক্ষা সামগ্রীগুলো একাধিকবার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ সেগুলো একবারের বেশি ব্যবহার করার কথা নয়। ৮৪ শতাংশ নার্স জানিয়েছেন তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়নি। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১০ মে’র মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল নার্স ইউনাইটেড এই জরিপ পরিচালিত করে। জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের এবং ওয়াশিংটন ডিসির মোট ২৩ হাজারের বেশি ইউনিয়ন ও নন-ইউনিয়নভুক্ত নার্সকে তাদের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়।

জরিপে ভয়াবহ সব তথ্য উঠে আসে। ৮৪ শতাংশ নার্সের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয় না। ৮৭ শতাংশ নার্সকে পিপিই ও এন-৯৫ মাস্কের মতো সুরক্ষা সামগ্রী বারবার পরতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আর করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন এমন নার্সদের মধ্যে পাঁচ শতাধিকের করোনা পজেটিভ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল নার্সেস ইউনাইটেডের প্রেসিডেন্ট জ্যান রস বলেন, আমরা এই গ্রহের সবচেয়ে ধনী দেশ, আমাদের লোভের কারণে এবং রোগীদের কল্যাণ নিয়ে না ভাবার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই দুর্দশা। শ্রমিকদের কল্যাণে নিয়ে পর্যাপ্ত ভাবা হয়নি এটা পরিষ্কার।

এ প্রসঙ্গে, ন্যাশনাল নার্সেস ইউনাইটেডের নির্বাহী পরিচালক বনি ক্যাস্তিলো বলেন, রোগীদের সেবা করার জন্যই নার্সরা নিবন্ধন করেছেন। মহামারির সময়ে অকারণে মারা যাওয়ার জন্য নয়। নিয়োগকর্তা ও প্রশাসনের কাছে আমাদের স্পষ্ট বার্তা হলো, আমাদের জন্য, জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই দিন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply