ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘আম্পান’ হলো যেভাবে

|

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। মঙ্গলবার মধ্যরাতে থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।

ঘূর্ণিঝড়টি এখন বাংলাদেশ অভিমুখে এগোলেও এর নামকরণ হয়েছিল আজ থেকে ১৬ বছর আগে।

২০০৪ সালে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সভায় আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের সাইক্লোনের নামকরণ নিয়ে যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় সে সময়ই আম্পান নাম তালিকায় যুক্ত হয়।

মূলত তখন এ অঞ্চলের ঝড়ের নাম দেয়া শুরু হয়। এর আগে বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন নামে ঝড়কে আখ্যায়িত করত।

অবশ্য ২০০৭ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্তভাবে নামকরণ শুরু করে আবহাওয়া অধিদফতর। ওই বছরের নভেম্বরে আঘাত হানা প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয় ‘সিডর’।

সিডরের পর তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া একেরপর এক ঝড়ের নামকরণ হয়- আইলা, মহাসেন, রোয়ানু, মোরা, নার্গিস, ফণী ও বুলবুল ইত্যাদি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘আম্পান’।

এবারের নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। থাই ভাষায় ‘আম্পান’ অর্থ দৃঢ়তা, স্বাধীন চিত্ত, শক্তি।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য ৬৪টি নামের একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকার শেষ নামটি ছিল ‘আম্পান’।

ক্রান্তীয় অঞ্চলের ৮টি দেশ মিলে ১৬ বছর আগে এই তালিকা প্রস্তুত করে। সেই তালিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় এবার ১৩টি দেশ মিলিয়ে ১৬৯টি নামের নতুন তালিকা প্রস্তুত করেছে। আম্পান শেষে পরবর্তী সাইক্লোনের নাম ওই তালিকা দিয়েই শুরু হবে।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর যে কোনো মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাইক্লোনের নামকরণ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ৬টি আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি)।

বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরসহ ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে যেসব সাইক্লোন দেখা দেয়, সেগুলোর নামকরণ করে ইন্ডিয়া মেটারোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি)। একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে এ নামকরণ হয়।

২০১৪ সালে ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিকাল অর্গানাইজেশন এবং এসক্যাপের অধীনস্থ আটটি দেশ দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের সাইক্লোনের নামকরণ করে। দেশগুলো হলো- ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, এবং থাইল্যান্ড।

প্রতিটি দেশ তাদের নামের তালিকা পাঠানোর পর তা চূড়ান্ত করে প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস (পিটিসি)।

২০১৮ সালে এই দলে প্রবেশ করে আরও পাঁচটি দেশ। সেগুলো হলো- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply