খাবার দিতে না পারায় বিরল দুটি ‘জায়ান্ট পান্ডা’ চীনে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডা

|

খাবার দিতে না পারায় বিরল দুটি ‘জায়ান্ট পান্ডা’ চীনে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডার একটি চিড়িয়াখানা। এমনিতেই পান্ডার একমাত্র খাবার বাঁশের সংকট কানাডায়। এতোদিন চীন থেকে আমদানি করে সরবরাহ করা হতো বাঁশ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায়, সংগ্রহ করা যাচ্ছে না পান্ডার খাবার।

এর শান ও দা মাও। কানাডার ক্যালগারি চিড়িয়াখানায়, রীতিমতো রাজসিক জীবন কাটছিলো দুই পান্ডার। চীনের উপহার হিসেবে, ৮ বছর আগে, কানাডায় পাড়ি জমায় বিরল প্রজাতির দুই জায়ান্ট পান্ডা। করোনার হানা এবার, তাদের সুখের সংসারেও। পরিবহন সংকটের কারণে চীন থেকে আনা যাচ্ছে না পান্ডার একমাত্র খাবার, কচি বাঁশ। খাদ্য সংকট কাটাতে না পেরে, পান্ডা দু’টিকে চীনে ফেরত পাঠাচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

ক্যালগারি চিড়িয়াখানার সভাপতি ক্লেমেন্ট লেন্থেয়ার বলেন, প্রতিদিন তাদের তাজা বাঁশ খাওয়ানো আমাদের দ্বায়িত্ব। তবে এখন সে সুযোগটিও মিলছে না। প্রাণীদের ভালো রাখার প্রশ্নে কোনো ছাড় দিতে চাই না আমরা। তাই, ফেরত পাঠানোই ভালো বিকল্প।)

পূর্ণবয়স্ক একটি পান্ডা প্রতিদিন ৪০ কেজি কচি বাঁশ খায়। সে হিসেবে শান ও মাওয়ের জন্য দিনে দরকার ৮০ কেজি বাঁশ। যার পুরোটাই আমদানি হতো চীন থেকে। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায়, লম্বা সময় ধরে বন্ধ বাঁশ আমদানি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মজুদও শেষের দিকে।

বিরল প্রাণী হওয়ায়, পৃথিবীর খুব কম চিড়িয়াখানাতেই আছে পান্ডা। স্বাভাবিকভাবে ক্যালগেরি চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের সবচে বেশি ভিড় ছিলো পান্ডার খাঁচা ঘিরে। যে কারণে, শান ও মাওকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত সহজ হয়নি কর্তৃপক্ষের জন্য।

ক্যালগারির মেয়র নাহিদ নেনশি বলেন, আমি খুবই দু:খিত যে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। আমার মনে হয়, বিষয়টি নিয়ে সামনের দিনগুলোতে অনেক কথা হবে। কিন্তু, আমরা নিরুপায়।

সারা বিশ্বে কেবল চীনের কিছু পাহাড়ি এলাকাতেই দেখা মেলে পান্ডার। চীনের বাইরে মাত্র ২১ দেশের চিড়িয়াখানায় আছে জায়ান্ট পান্ডা। খাবারের জোগান দিতে জার্মানি, ফ্রান্স কিংবা স্পেনের মতো দেশ স্থানীয়ভাবেই বাঁশ চাষ করে। কিন্তু কানাডায় সে সুযোগ নেই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply