টঙ্গী বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান

|

গাজীপুর প্রতিনিধি
অবৈধভাবে গড়ে ওঠা টঙ্গী বাজারে দ্বিতীয় দিনের মত আজও উচ্ছেদ অভিযান করছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। স্বাধীনতার পর এই প্রথম টঙ্গী বাজারে উচ্ছেদে নামে পুলিশ। গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী বাজার এলাকার সবকয়টি চলাচলের সড়ক দখল করে ব্যবসা করে আসছিল স্থানীয়রা। সকাল থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় চলমান এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে জিএমপি পুলিশ। ইতিমেধ্যে বাজারে এলাকার ১৫শ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। টঙ্গী বাজারে আরো পাঁচ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ হবে হলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী বাজারের বিভিন্ন মার্কেটর সামনে এবং দোকানের সামনে রাস্তার উপরে, দোকানপাট, দোকানের মালামাল দিয়ে রাস্তাগুলো দখল করে ব্যবসা করে আসছে। তাছাড়া, থানা থেকে একাধিক নোটিশের পরও যেসব স্থাপনা সরানো হয়নি সেগুলো উচ্ছেদ করতে এই অভিযান চলছে।

এদিকে, গাজীপুর মহানগরের বেশ কয়েকটি বাজার দখলমুক্ত করতে জিএমপি পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে কাঁচাবাজার মার্কেট, টিনসেড ঔষধ মার্কেটসহ বেশ কিছু স্থাপনাও পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলেও জানান জিএমপির পুলিশ।

হাজী মাকের্ট এলাকার দোকান মালিক মো. আব্দুল কালাম বলেন, জন্মের পর থেকে এখানে ব্যবসা করে আসছি। এখন পর্যন্ত কেউ বাধা দেয়নি। হঠাৎ মেট্রোপলিটন পুলিশ অভিযানে আমার দোকান ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি প্রতিমাসে ইজারাদারদের টাকা দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। এমন অভিযানে ঐসব ইজারাদারদের খুজে পাচ্ছি না।

জানা যায়, রাজধানীসহ গাজীপুরের আশপাশের জেলাগুলো টঙ্গী বাজার থেকে বাজার করতে আসতো মানুষ। রাস্তাগুলো দখল করার কারণে অনেকেই চলাচল করতে পারতো না। এসব দোকান থেকে ইজারার নামে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আসছিলো। বাজারে এক একটি গাড়ি প্রবেশ করলে ৫০ থেকে ১শ টাকা করে চাঁদা দিতে হতো। উচ্ছেদের পর হঠাৎ ইজারাদাররা পলাতক রয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।

টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত টঙ্গী বাজারে বিভিন্ন গলিতে গড়ে ওঠা দোকানের কারণে সাধারণ মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়ে। মহামারি করোনার এই সময়ে সাধারণ মানুষ যাতে শারিরীক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে পারে সেজন্যই এই অভিযান। এছাড়া, কয়েকদিন পরই ঈদ। এ উপলক্ষে বাজারে অধিক লোকের সমাগম হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যাতে নিয়ন্ত্রনে থাকে সে জন্যই আগাম প্রস্ততি হিসেবে ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কেউ ফুটপাতে দোকান বসালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম (দক্ষিণ) মো. সাহাদাৎ হোসেন, টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার থোয়াই অংপ্রু মারমা, জিসিসির ৫৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত কুমার পোদ্দারসহ থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যগন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply