সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে সরকারি কর্মচারীদের

|

নির্দেশনা সরকারি কর্মচারীদের

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮ নির্দেশনা মানতে হবে সরকারি কর্মচারীদের।

ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সংবলিত কোনো পোস্ট দেয়া ও লাইক-শেয়ার করা থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্যমূলক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এমন কোনো পোস্ট থেকেও বিরত থাকতেে বলা হয়েছে। কেউ তা না মানলে আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই পরিপত্র জারি করা হয়।

জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি কর্মচারীদের ৮ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো:

১. সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপেলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪. জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস/পেশাকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫. লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।

৬. জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও আপলোপ, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৭. ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮. অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য সংবলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো অপব্যবহারের জন্য কর্মচারীরা নিজে দায়ী থাকবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে নির্দেশনা জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর বিভিন্ন সময় ওই নির্দেশনা পরিমার্জন করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply