করোনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে ‘এশিয়ান জায়ান্ট হরনেট’ ভিমরুলের হানা

|

এশিয়ান জায়ান্ট হরনেট ভিমরুল

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের মধ্যেই নতুন সংকটে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন রাজ্যে দেখা দিয়েছে এশিয়ান জায়ান্ট হরনেট বা ভিমরুলের উপদ্রব। প্রায় আড়াই ইঞ্চি লম্বা এই ভিমরুল এরইমধ্যে দেশটির মৌ-চাষের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন আচরণে আগ্রাসী এই পতঙ্গ মানুষের জন্যও হুমকি। প্রথমবারের মতো এই প্রজাতীর ভিমরুলের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

বাঘের মতো হলুদ-কালো ডোরাকাটা রঙ, আকারে প্রায় আড়াই ইঞ্চি, সাথে রয়েছে শক্তিশালী হুল। এরা স্বভাবেও প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক। পাওয়া যায় মূলত এশিয়াতেই। এ কারণেই নাম দেয়া হয়েছে এশিয়ান জায়ান্ট হরনেট। যা পরিচিত কিলার হরনেট নামে। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও দেখা মিলেছে ভয়ঙ্কর এই পতঙ্গের।

এই জাতের ভিমরুলের মূল লক্ষ্য থাকে মৌমাছি। এরমধ্যে অনেক মার্কিন চাষিই, তাদের খামারে ভিমরুল আক্রমণের অভিযোগ করেছেন। মৌমাছি মূলত এই জাতের ভিমরুলের প্রধান খাবার। এদের প্রচন্ড শক্তিশালী চোয়াল রয়েছে। ফলে এরা যখন ঝাঁক বেঁধে কোনো মৌচাকে আক্রমণ করে তখন প্রায় সব মৌমাছিকেই মেরে ফেলে। এমনকি মৌমাছির লার্ভাকেও এরা খেয়ে ফেলে। ফলে মৌচাষ ও ফুল চাষের বড় ধরণের ক্ষতি করে এই ভিমরুলগুলো।

গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে দেখা মেলে এই ভিমরুলের। এরপর তা পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত এলাকাতেও। মৌমাছির তুলনায় আকারে দ্বিগুণ এই পতঙ্গ আক্রমণের সময় নিউরোটক্সিন নামের এক ধরণের বিষ নির্গত করে। যাতে হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যুও হতে পারে।

উল্লেখ্য, জাপানে প্রতি বছর গড়ে ৫০ জনের মৃত্যু হয় এই ভিমরুলের আক্রমনে। মুলত এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই ভিমরুল দেখা গেলেও কিভাবে তা যুক্তরাষ্ট্রে গেল তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply