কেনো বিদ্যানন্দের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান কিশোর?

|

কেনো বিদ্যানন্দের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান কিশোর?

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশ।

দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে তো বটেই, করোনা পরিস্থিতেও স্বেচ্ছাসেবী কর্মযজ্ঞ দিয়ে আলোচনায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এর প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশ গত মার্চ মাসে চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ইচ্ছের কথা জানান। শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি, নতুন নেতৃত্বে কাজকে বেগবান করা এবং আত্মত্যাগে স্বেচ্ছাসেবকদের অনুপ্রাণিত করাকে তিনি কারণ হিসেবে দেখান। তবে, প্রতিষ্ঠানটির স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, এখনও চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন কিশোর। তারা তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি।

জানা যায়, বিদ্যানন্দের প্রবাসী এই উদ্যোক্তা সশরীরে খুব অল্পই সময় দিতে পারেন। এছাড়া ৯০ শতাংশ মুসলিম স্বেচ্ছাসেবকরাই চালিয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবুও উদ্যোক্তার ধর্ম পরিচয়ে অনেকেই অপপ্রচার চালায় মিথ্যা তথ্য দেয়। যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কার্যক্রম, অনুদানের গতি। মিথ্যা অপপ্রচার এই সিদ্ধান্তে অনেকটা প্রভাবিত করেছে পেশাদার কাজের আড়ালে বেশ আবেগ নির্ভর কিশোরকে। তবে নির্বাহী কমিটির সদস্যরা চেয়ারম্যানের এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি।

নির্বাহী কমিটির সদস্যরা জানান, গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুসারে আমরা উপযুক্ত সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। তাই কিশোর কুমার দাশ এখনও চেয়ারম্যান পদে আছেন এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। যতদিন বিদ্যানন্দ থাকবে তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবেন বলেও জানান তারা।

তারা জানান, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করার বিষয়টি আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য হতাশার নয়। বরং পদ আঁকড়ে থাকার মানসিকতার এই সমাজে উল্টো পথে হাঁটতে পারার জন্য গর্ব হচ্ছে। আর বিদ্যানন্দে পদে কি যায় আসে? এখানে তো কাজটাই আসল, আর সেটাই আমরা করে ছাড়বো।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা আরও জানায়, তারা ব্যক্তির চেয়ে কাজটিকে সবসময় বড় করে দেখেছে। যেকোনো সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানের কাজ, গ্রহণযোগ্যতা এবং অগ্রযাত্রা যাতে ব্যাহত না হয়, সে চেষ্টাই করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, ‘বিদ্যানন্দ’ নামটি দিয়েছেন এক মুসলমান ব্র্যান্ড এক্সপার্ট। ‘আনন্দের মাধ্যমে বিদ্যা অর্জন’ স্লোগানের সাথে মিল রেখে তিনি নামটি দিয়েছিলেন। অনেকেই এটাকে ব্যক্তির নাম থেকে ভেবে ভুল করেন। এজন্য দুই বছর আগে নাম পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটও করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ভোটে স্বেচ্ছাসেবকরা নাম পরিবর্তনের বিপক্ষে ভোট দেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply