রামুতে অতিবিপন্ন প্রাণী ‘বেঙ্গল স্লো লরিস’ উদ্ধার

|

রামুতে অতিবিপন্ন প্রাণী 'বেঙ্গল স্লো লরিস' উদ্ধার

কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরঘাটের জঙ্গল থেকে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় থাকা ‘বেঙ্গল স্লো লরিস’ নামের অতিবিপন্ন এক প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। বাদামি রঙের ঘন পশমযুক্ত প্রাণীটির উচ্চতা পাঁচ ফুট, লম্বায় প্রায় ১২ ফুট। চোখ দুটি গোল, দেখতে বিড়ালের মতো ঘোলাটে। এসময় বিভিন্ন প্রকার খাবার দিলেও প্রাণীটি শুধুমাত্র কলা খেয়েছে বলে জানা যায়।

গর্জনিয়ার পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের বেলতলী গ্রাম থেকে মাঝিরঘাট জঙ্গলে যাওয়ার পথে দুই যুবক প্রাণীটি দেখে ধরেন। খবর পেয়ে তিনি আর গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফেজ আহমদ স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল হোসেনের সহায়তা নিয়ে প্রাণীটি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন। এরপর বনবিভাগের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।

সোমবার রাত দেড়টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা বনবিভাগকে হস্তান্তর করা হয়। বনবিভাগের পক্ষে এটি গ্রহণ করেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের এসিএফ মো. সোহেল রানা। আরও ছিলেন সদরের রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও বাঘখালি রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা এলাহী।

বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানান, এদের ‘বেঙ্গল স্লো লরিস’ হিসেবে ডাকা হয়। এটি লরিসিডি পরিবারের একটি অতিবিপন্ন প্রাণী। বিপন্ন এই প্রাণীটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত প্রাণী। দেশের ১০টি অতিবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় এক নম্বরে আছে এটি। খাবারের সন্ধানে এটি লোকালয়ে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সদরের রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, উদ্ধারকৃত ‘বেঙ্গল স্লো লরিস’ নামের ওই প্রাণীকে চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply