করোনায় বাড়ছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপলিকেশনের ব্যবহার

|

করোনায় বাড়ছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপলিকেশনের ব্যবহার

করোনা পরিস্থিতিতে, জীবনযাত্রার বড় অংশই এখন অনলাইনকেন্দ্রিক। নিছক অবসর কাটানো নয় ভিডিও কনফারেন্সেই সারতে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, ক্লাস কিংবা সেমিনার। এ সুযোগে কয়েকগুণ বেড়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপলিকেশন ‘জুম’ এর ব্যবহার। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের বাজার দখলে প্রতিযোগিতায় নেমেছে গুগল, মাইক্রোসফট আর ফেসবুক-ও। বিকল্প বাড়ছে ব্যবহারকারীদের জন্য।

পারিবারিক আড্ডা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠক সবই এখন চলছে অনলাইনে। যার বড় মাধ্যম বিভিন্ন অ্যাপ। মহামারি পরিস্থিতিতে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বের বিধিনিষেধে বেড়েছে অ্যাপগুলোর চাহিদা।

বিশ্বজুড়ে ভিডিও কনফারেন্সিং বাড়ায় সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ‘জুম’। জানুয়ারি থেকে অ্যাপটির ডাউনলোড বেড়েছে ৩০ গুণ। দিনে অ্যাপটির লাইভ কনফারেন্সে যুক্ত থাকছেন ৩০ কোটি মানুষ।

জুমের বিপুল এ জনপ্রিয়তায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের বাজার দখলে তৎপর হয়েছে টেক দুনিয়ার প্রধান তিন জায়ান্ট গুগল, মাইক্রোসফট ও ফেসবুক। তিন প্রতিষ্ঠানই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে দিচ্ছে নতুন সুযোগ-সুবিধা।

এতোদিন পেইড অ্যাপ হলেও এ সপ্তাহেই ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ গুগল মিট বিনামূল্যে সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এখন প্রতিদিন এ অ্যাপে গড়ে যুক্ত থাকছেন ১০ কোটি ব্যবহারকারী। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের জন্য গুগল হ্যাংআউট অ্যাপও আছে গুগলের।

মাইক্রোসফট টিমসে প্রতিদিন গড়ে সক্রিয় প্রায় ২০ কোটি গ্রাহক। অ্যাপসটিতে ভিডিও কনফারেন্সে অনেকে যুক্ত থাকতে পারলেও স্ক্রিনে দেখা যায় মাত্র চারজনকে। জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে, এ সংখ্যা বাড়িয়ে নয় করার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। পরিসর বেড়েছে মাইক্রোসফট মালিকানাধীন স্কাইপিতেও। স্কাইপির ভিডিও কনফারেন্সিং ফিচার- মিট নাউতে একসাথে ৫০ জন পর্যন্ত যুক্ত হতে পারবেন।

ভিডিও চ্যাটের সুযোগ বাড়াচ্ছে ফেসবুকও। এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে ‘ম্যাসেঞ্জার রুম’ নামের নতুন ফিচার। এতেও ৫০ জন পর্যন্ত যুক্ত হতে পারবেন। ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জার এবং ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ ফেসবুক মালিকানাধীন সব অ্যাপেই থাকবে ম্যাসেঞ্জার রুমের সুবিধা। হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জারের সবশেষ আপডেটেও ভিডিও কলে, ৮ জন পর্যন্ত যুক্ত হওয়ার সুবিধা দেয়া হয়েছে।

ভিডিও কনফারেন্সে অসাধু হ্যাকারদের আনাগোণায় কিছুটা প্রশ্নের মুখে জুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যে কারণে, দ্রুত বাজার দখল করতে চাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিরা। ব্যবহার বাড়ছে স্বল্প পরিচিত অনেক অ্যাপেরও। টেক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিকল্প যতো বাড়বে সুবিধাও ততো বাড়বে ব্যবহারকারীদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply