ট্রলার থেকে ৬৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ মিয়ানমারের নাগরিকসহ ৮ জন আটক

|

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিশান বাড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ৬৫ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ ৮ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব এ অভিযান চালায়। র‌্যাবের হাতে আটককৃত ৮ জনের মধ্য হাসিনা বেগমের বাড়ি মিয়ানমার। এসময় মাছ ধরার ট্রলার এবং একটি মোটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশান বাড়ীয়া লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বাবুল মৃধা (৪৫) ও তার স্ত্রী রোহিঙ্গা মোসা. হাসিনা বেগম (২২) এবং তাদের সহযোগী মো. ইউসুফ আলী (২৭), মো. সালাম (২৭), মো. নূর আলম (২৬), মো. ইউছুফ (২৬), শাহজাদা (২৪), মো. জামালকে (২৪) আটক করা হয়। পরে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের দেয়া তথ্যে একটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করে তাতে তল্লাশি চালিয়ে ৬৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আরো নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়- ধৃত বাবুল মৃধা ও তার স্ত্রী হাসিনা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে মাছ ধরার ট্রলার ব্যবহার করে বড় বড় ইয়াবা চালান নিয়ে আসে এবং পটুয়াখালীতে সরবরাহ করে থাকে। বাবুল মৃধার বিরুদ্ধে চাঁদপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানায় প্রায় অর্ধ ডজন মাদক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদি হয়ে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে। আসামিদের দুজনের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় এবং বাকি ৬ জনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত হাসিনা জানায়, তার বাড়ি মিয়ানমার এলাকায়। তিনি কক্সবাজার থেকে পটুয়াখালীতে অবস্থান করে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এক স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় নির্বাচন অফিস থেকে টাকার বিনিময়ে পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply