কিশোরগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ১১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী

|

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জে ৪৬ জন ডাক্তার ও ১৩ জন নার্সসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ১১০ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে তিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসার চাপে সাধারণ চিকিৎসা সেবা পড়েছে বিপাকে।

উদ্বেগজনক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কিশোরগঞ্জ জেলাকে ‘হটস্পট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে এ জেলায় ১৭৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আর আক্রান্তদের ৬২ ভাগই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। করোনা সংক্রমণের কারণে তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার একমাত্র সরকারি মেডিকেল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিকে ঘোষণা করা হয়েছে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে।

এমন অবস্থায় চিড় ধরেছে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে। আরটি পিসিআর ল্যাবে স্থাপন করে অধিক মাত্রায় নমুনা পরীক্ষার দাবি সমাজ কর্মীদের। তবে উপসর্গ গোপন রেখে সংস্পর্শে যাওয়ার কারণে ডাক্তারদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানালেন বিএমএ নেতা। এদিকে সীমিত পর্যায়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা চালু রাখার দাবি করেছেন কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন। একইসাথে সরকারি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জানালেন, করোনা চিকিৎসায় ডাক্তার-নার্সরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

জানা গেছে, ১৩ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত দেশের অন্যতম বৃহত্তম জেলা কিশোরগঞ্জে ২৭ এপ্রিল সোমবার পর্যন্ত ১৫০৩টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরমধ্যে ১৭৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরমধ্যে ৪৬ জন ডাক্তার, ১৩ জন নার্স ও ৫১ জন স্বাস্থ্য কর্মীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মোট ১১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা- সদস্য ও দুইজন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট (এসিল্যাণ্ড)।

এদিকে একসঙ্গে অধিক সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হওয়ার কারণে ১২ এপ্রিল করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২০ এপ্রিল তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ২৩ এপ্রিল নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করে সকল ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। ১২ এপ্রিল থেকে সরকারি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply