সিঁড়িতেই মরে পড়ে ছিলেন ব্যবসায়ী; সৎকার করলেন কাউন্সিলর

|

সিঁড়িতেই মরে পড়ে ছিলেন ব্যবসায়ী

সিঁড়িতেই মরে পড়ে ছিলেন ব্যবসায়ী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন খোকন সাহা নামে এক ব্যবসায়ী। নিজ বাড়ির সিঁড়িতে পড়েই মারা যান তিনি। তবে নির্মম এই মৃত্যুর পর মৃতের মরদেহ ছুঁয়েও দেখেনি তার আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা। স্ত্রী কন্যাদের কান্না দেখেও মন গলেনি কারো। মৃত খোকন সাহা কালীরবাজারে জেবিএল নামক একটি অভিজাত কনফেকশনারীর মালিক। গলাচিপা চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় তিনিসহ সাত বন্ধু মিলে সাততলা ভবন নির্মাণ করে ওই ভবনের ৪ তলাতে তিনি স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন।

রোববার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে খবর পেয়ে খোকন সাহার মরদেহ সংগ্রহ করেন কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি ও তার দলের লোকজন খোকন সাহার সৎকার সম্পন্ন করেন। তবে মৃতের সম্প্রদায় কিংবা তার স্বজনরা কেউ না আসায় মুখাগ্নি করেন কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই। সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তির বাড়িতে তার স্ত্রী ও দুটি ছোট ছোট মেয়ে আছে। তার শারীরিক অবস্থা যখন খারাপ হয় তখন আশপাশের ফ্ল্যাটে থাকা তার বন্ধুদের এবং পরিচিত আত্মীয় স্বজনদের ডেকেছিলেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে। কিন্তু কেউ তার ডাকে সাড়া দেয়নি। পরে স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়েই খোকন সাহাকে কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে নামিয়ে আনছিলেন। তবে নামানোর পথে সিঁড়িতেই তিনি মারা যান। এরপরও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে কাউন্সিলর খোরশেদকে খবর দেওয়া হয়।

কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, সকালের দিকে যখন তিনি করোনা পজেটিভ হোসনে আরা নামক এক নারীর দাফন করছিলেন তখন তার কাছে ফোন আসে খোকন সাহা নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। কিন্তু তার আত্মীয় স্বজন বিষয়টি ফোন করে জানালেও কেউ মরদেহের কাছে আসেনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই ভবনের তিন এবং চারতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে তিনি মরে পরে আছেন। পরে তার সৎকারের ব্যবস্থা করি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply