রোহিঙ্গা হত্যার কথা স্বীকার করলো মিয়ানমার সেনাবাহিনী

|

রোহিঙ্গাদের হত্যা, নিপীড়নের বিষয়ে এতো দিন ধরে অস্বীকার করে আসালেও এবার বিষয়টি স্বীকার করেছে মিয়ানমার সেনাবহিনী। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, চার সেনা সদস্য ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার  কথা স্বীকার করেছে।

গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তল্লাশী চৌকিতে হামলা চালানো অভিযোগ এনে ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালায় দেশটির সেনাবিহনী।

নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মুখে বসতি ছেড়ে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ এই বর্বর হত্যাকাণ্ডকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানায়। পাশাপাশি সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে  বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীরা ্ওপর ধর্ষণের অভিযোগ আনে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সেনা নিপীড়নেই প্রাণ যায় অন্তত ৬ হাজার মানুষের।

বরাবরই এই বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অস্বীকার করে আসছিল দেশটির সেনবাহিনী। ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাখাইন রাজ্যে সকল প্রকার গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এমনকি সংবাদ সংগ্রহ করার দায়ে দুই রয়টার্স সাংবাদিক কে গ্রেফতার করতে পরোয়া করেনি।

গত ডিসেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে রাখাইনের উত্তরে ঊপকূলীয় ইন দীন গ্রামে একটি গণকবরে ১০ জনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানায়। সেনাবাহিনী ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেয়। আর সেই অনুসন্ধানের ফলাফল ফেসবুক পেইজে জানালেন স্বয়ং সেনাপ্রধান।

সেনাপ্রধান ফেসবুক বিবৃতিতে বলেন, ২ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালানোর সময় ২শ রোহিঙ্গা লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়। এ সময় এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নিরাপত্তাকর্মীরা ফাঁকা গুলি করে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও ১০ রোহিঙ্গা ধরা পড়ে। আটক ১০ রোহিঙ্গাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে স্থানীয় বৌদ্ধরা। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা ঐ ১০ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে গণকবর দেয়।

অভিযোগ স্বীকার করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী এবং নিরাপত্তাকর্মীরা। আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে সেনাপ্রধান।

যমুন অনলাইন:এএস/টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply