রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেছা মৃত্যুর আবেদন

|

রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেছা মৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন ভারেতর এক নিঃসন্তান দম্পতি। বড় ধরনের কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও তারা এ আবেদন জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “আবেদনকারী উভয়েই বয়স অনুযায়ী সুস্থ্য আছেন, এবং তারা কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত নন।”

এতে আরও বলা হয়েছে, “জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করানো অনায্য হবে। এ থেকে তাদেরকে রক্ষা করতে মৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক।”

এ দম্পতির একজন হলেন ৭৯ বছর বয়সী ইরাবতীর লাভাত; তিনি মুম্বাইয়ের চারনি রোডে আর্য ই এস উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার স্বামী ৮৬ বছর বয়সী নারায়ণ লাভাত মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে।

নারায়ণ লাভাত বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতির কাছে লিখেছি, কারণ তার মৃত্যুদণ্ড মওকুফের ক্ষমতা আছে। মৃত্যু দণ্ড মওকুফের ক্ষমতা থাকলে, মৃত্যুর অধিকার প্রদানের ক্ষমতাও থাকা উচিত।”

গত ২১ ডিসেম্বর তারা রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি লেখেন। রাষ্ট্রপতির দপ্তার জানিয়েছে, চিঠির উত্তর দিতে সময় লাগবে।

হিন্দুস্থান টাইসমকে এ দম্পতি জানান, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এবং ‘সমাজের জন্য অবদান’ রাখতে পারেবেন না-এমন ভাবনা থেকে তারা ‘অ্যাক্টিভ ইউথেনেশিয়া’ পদ্ধতিতে মারা যাওয়ার আবেদন করেছেন।

‘অ্যাক্টিভ ইউথেনেশিয়া’ পদ্ধতিতে এক ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ অতি মাত্রায় প্রয়োগ করা হয়, এতে সজ্ঞান অবস্থায় কোনো রকম যন্ত্রণা অনুভব ছাড়াই ওষুধে আক্রান্ত ব্যাক্তি মারা যান।

এ দম্পতি আরও জানান, বিয়ের প্রথম বছরে আমরা সিদ্ধান্ত নেই, সন্তান নেব না। এখন, এই বয়সে এসে আমাদের নিজেদের বোঝা অন্যদের ওপর চাপাতে চাই না।

ভারতে এ ধরনের পদ্ধতিতে মৃত্যুবরণে আইনত কোনো সুযোগ নেই। পিডি হিন্দুজা এবং গবেষণা কেন্দ্রের স্নায়ু গবেষক ডাঃ রূপ গুরাসাহানি বলেন, “হাতেগোনা কয়েকটি দেশে চিকিৎসকের সহায়তায় মৃত্যুর বরণের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে তা দূরারোগ্যো রোগে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগকারীর জন্য প্রযোজ্য।”

যমুনা অনলাইন: এফএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply