লকডাউনে বাড়ির লোকজনকে যেভাবে সময় দেবেন

|

লকডাউনের সময় এখন আমাদের সকলকেই গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। তাতে নানা ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে, আমরা মানসিক ভাবে কিছুটা অবসাদগ্রস্তও হয়ে পড়েছি। তাই পরিবারের লোকজনকে খুব ভালোভাবে সময় দেয়ার এটাই সেরা সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। এই সময়েই আমরা বাড়ির সব কাজ ভাগ করে সকলে মিলে করার শিক্ষা নিতে পারি।

আমাদের কেউ কেউ বাড়ি ও নিজেদের জামাকাপড় পরিষ্কার করার ব্যাপারে এত দিন উদাসীনতা দেখিয়ে থাকতে পারি। এ ব্যাপারে পুরোপুরি নির্ভর করে এসেছি অন্যের ওপর। বড় চাকরি করেন বলে বাড়ির ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও মোছার কথা হয়তো আমাদের কেউ কেউ ভাবতেও পারেননি এতদিন। এ বার লকডাউনে বাড়িতে থাকার একঘেয়েমি কাটাতে আর অঢেল সময়কে কাজে লাগাতে এই কাজগুলিও আমরা শিখে ফেলতে পারি। তাতে পরিবারের লোকজনের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা ও সহমর্মিতাও প্রকাশ করা যাবে।

সন্তানরা ঠিকভাবে পড়াশোনা করছে নাকি ফাঁকি দিচ্ছে, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে এত দিন তার উপর হয়তো আমাদের কেউ কেউ নজর রাখার প্রয়োজনই মনে করতেন না। লকডাউনের সুবাদে হাতে অঢেল সময় এসে যাওয়ায় এবার আমরা সে দিকে খুব ভালোভাবে নজর দেওয়া শুরু করতে পারি। এটা পরে আমাদের অভ্যাসে পরিণত হলে আরও ভালো হবে।

শুধুই পড়াশোনার জন্য নয়, সন্তান ও বাড়ির প্রবীণদের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টা, গল্পগুজব, আড্ডায় সময় কাটানোর দরকার তাদের মানসিক ভাবে সুস্থ রাখার জন্যও। এই সুযোগটা হয়তো আমাদের কেউ কেউ পান না অন্যান্য সময়ে। এবার লকডাউনে আমরা গৃহবন্দি থেকে এটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারি।

সন্তান ও বাড়ির প্রবীণদের সঙ্গে এক সঙ্গে ড্রয়িং রুমে বসে টেলিভিশনে কোনও ভালো সিরিয়াল বা সিনেমা দেখতে পারি। কোনও ভালো বই নিয়ে আলোচনা করতে পারি অনেকটা সময় নিয়ে। পুরনো দিনের ভালো ভালো গান শুনতে পারি বা পুরনো দেশি, বিদেশি সিনেমাগুলি দেখতে পারি।

প্রতিদিন জীবনের তুমুল ব্যস্ততায় বাড়ির প্রবীণরা অনেক সময়ই নিজেদের উপেক্ষিত মনে করেন। এটাই উপযুক্ত সময় যেন আমরা তাদের বোঝাতে পারি, আমাদের কাছে তাদের গুরুত্ব কতটুকু।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply