করোনা থেকে সুস্থ হয়ে যা বললেন তারা

|

কঠিন পরিস্থিতিতেও বিশ্বাস হারালে চলবে না। করোনার ভয়াবহতা থেকে বেঁচে ফেরার মূলমন্ত্রই ইতিবাচকতা। কোভিড নাইনটিনে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া তিন রোগীর এ বার্তা, ভাইরাস আতঙ্কে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য। তাদের পরামর্শ, সৃষ্টিকর্তার ওপর, স্বজনদের ওপর, সর্বোপরি, নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে অটল।

করোনার ভয়াবহ আভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন অনেকে। তাদের ভিডিও সেসময় আতঙ্ক ছড়ালেও এখন সুস্থ অনেকেই। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে জানিয়েছেন, হাসপাতালে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের ভিড়ে কেমন ছিল জীবন? সেখান থেকে কী উপলব্ধিই বা লাভ করেছেন তিনি?

করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া মাইকেল প্রিন্ডারগাস্ট বলেন, “ভেবেছিলাম, জীবনের শেষ মুহূর্তে পৌঁছেছি। হাসপাতালে শুয়ে ভাবতাম- ভালো মানুষ ছিলাম? মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে সব দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেছি? যারা এখনও এ সময় পার করছেন, বিশ্বাস রাখুন। ভালো চিন্তা করুন। জীবন ছোট্ট। এর মধ্যে যা কিছু পেয়েছেন, হয়তো শুধু দু’টো পা- তার জন্যও কৃতজ্ঞ থাকুন।”

বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতি মিনিটে গড়ে তিনজন প্রাণ হারাচ্ছেন ছোঁয়াচে কোভিড নাইনটিনে। আক্রান্ত লাখো মানুষ। চিকিৎসা আর প্রতিরোধের উপায় অজানা বলে ভাইরাস আতঙ্কে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অনেকে। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে তাদের জন্য বার্তা দিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা এই নারী।

সুস্থ হওয়া আরেক করোনাভাইরাস আক্রান্ত ক্যারেন ম্যানারিং বলেন, “দু’টো ফুসফুস প্রায় অকেজো হওয়ার ভয়াবহ কষ্টেও অনাগত সন্তানের জন্য মৃত্যুর সাথে লড়েছি। বেঁচে ফিরেছি। প্রত্যেককে ধন্যবাদ যারা আমার সুস্থতা চেয়েছেন। বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন, একেকটি মানুষের প্রার্থনাই আমাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।”

যমের দুয়ার থেকে ফিরে আসা মার্ক ম্যাকলার্গের নতুন ভিডিওটিও এখন ভাইরাল। যেখানে তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধে সবচেয়ে জরুরি ইতিবাচক মনোভাব।

সুস্থ হওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত ধর্মযাজক মার্ক ম্যাকলার্গ বলেন, “মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। সুস্থ হলেও আইসোলেশনে আছি। থাকবো আরও এক সপ্তাহ। প্রার্থনা করছি তাদের জন্য যারা এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। ঈশ্বরই আপনাদের সাহায্য করবেন।”

অনেক প্রাণহানির ভিড়ে যে কথা প্রায়শ চাপা পড়ে যাচ্ছে, তা হলো করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই করে পৌনে দু’লাখের বেশি মানুষ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সুস্থ শরীরে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply