দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘরে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা

|

দক্ষিণ আফ্রিকায় কভিড-১৯ এর সংক্রমণ আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩২৬। যার মধ্য মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩১ জন। করোনা বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন চলছে।

দেশের এ দুর্যোগ লগ্নে তৃতীয়বারের মত জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিয়েছেন দেশটির রাষ্টপতি সিরিল রামাপুসা। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ঘোষনা দিয়েছেন, কভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য সারাদেশে ১০ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবে।

তারা প্রতিটি নাগরিকদের বাড়ি গিয়ে কভিড-১৯ এর উপসর্গ পরীক্ষা করবে। এ জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা একযোগে সারাদেশের ৯টি প্রাদেশিক শহর ও ৪৪ টি জেলা শহর ও ২০৫টি স্থানীয় শহর ও সকল গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি যাবে।

রাষ্ট্রপতি সিরিল রমাফোসা বলেছেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে কভিড-১৯ এর জন্য সরকার একটি স্ক্রিনিং, টেস্টিং, ট্রেসিং এবং মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম গ্রহণ করবে।

তিনি বলছেন, ১০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে ইতিমধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা সারাদেশের নাগরিকদের কভিড-১৯ এর লক্ষণযুক্ত কোনো নাগরিক পেলে তাদের স্থানীয় ক্লিনিক বা মোবাইল ক্লিনিকগুলিতে অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করবে। এ জন্য সারাদেশে অসংখ্য মোবাইল ক্লিনিক কাজ করবে।

রাষ্ট্রপতি রামাফোসা বলেন, যে সমস্ত লোকেরা করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হন এবং যারা ফ্লুর লক্ষণ নিয়ে থাকেন তাদের সকল নাগরিকদের সরকারি চিকিৎসার আওতায় আনা হবে। দেশে কোনো নাগরিক বিনা চিকিৎসায় থাকবেনা।

উল্লেখ্য, আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রতিদিন এই দেশে অন্ততঃ ১শ লোক কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। দেশটির হাউটেং(জোহানসবার্গ) ও ওয়েস্টার্ন কেপ (কেপটাউন) এ সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply