ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই গ্রামে হাত না ধুয়ে প্রবেশ নিষেধ

|

হাত না ধুয়ে ও শরীরে ও গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে না করে প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগরের জালশুকা গ্রামে।

করোনা মহামারি থেকে সতর্ক থাকতে ও এইটর সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সেই গ্রামের ‍যুবকরা।

সোমবার বিকালে এই সচেতনা ও করোনা বিরোধী কার্যক্রম চালুর আগে ২৪ মার্চ নিজেদের গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়িয়েছে তারা।

যুবকদের একজন রেজাউল হক বুলু বলেন, গ্রামের ভেতর আসা-যাওয়ার সময় সবাই যেন জীবাণুমুক্ত হতে পারেন সেই জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া হুট করে কেউ যেন গ্রামের ভেতর গাড়ি নিয়ে ঢুকে না পড়ে, সে জন্য বাঁশের ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। সেখানে নেমে গাড়ির যাত্রীরা নিজে ও গাড়ি জীবাণূমুক্ত করেই গ্রামে ঢুকবেন। মোট কথা গ্রামে যেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ঢুকতে না পারে সেটাই আমাদের চেষ্টা।

বুলু আরও জানান, গ্রামে ৫ জন প্রবাসী রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইতালি থেকে আসা। ইতালি আগত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাকি ৪ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হলেও তারা অবাধে ঘোরাফেরা করছেন না।

গ্রামের প্রবেশ পথে দেখা যায় একটি বাঁশের ব্যারিকেড, তার পাশে একটি বেসিন। বেসিনের ওপর একটি হাত ধোয়া এবং শরীরে স্প্রে করার জীবাণুনাশক স্যানিটাইজার ভর্তি বোতল ও দুটি গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার বোতল রাখা রয়েছে।

বেসিনের পাশেই সাঁটানো নোটিশ। তাতে লেখা আছে ‘প্রিয় গ্রামবাসী, আসসালামু আলাইকুম। একটি বিশেষ ঘোষণা। সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার আতঙ্কে সারা বিশ্ববাসী এখন আতঙ্কিত। তাই গ্রামের সর্বসাধারণ ভাই-বোনদের জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা সবাই যার যার ঘরে অবস্থান করুন। অপ্রয়োজনে বাইরে ঘুরাঘুরি করবেন না। গ্রামের মূল রাস্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং গ্রাম থেকে বের হওয়ার সময় ও প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক স্প্রেটি ব্যবহার করুন। যদি কেউ গাড়ি নিয়ে আসা-যাওয়া করেন তবে উক্ত স্প্রে দিয়ে আপনার গাড়িটিও স্প্রে করবেন। উক্ত কাজটি নিজে করুন এবং অন্যকেও উৎসাহিত করুন।

বি. দ্র. উক্ত কাজটি করার ক্ষেত্রে কেউ যদি আপত্তি পোষণ করেন বা কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তার প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতএব, নিজের জীবনকে মূল্যায়ন করুন, গ্রামকে ভাইরাস মুক্ত রাখুন।’

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর সড়ক থেকেই গ্রামে প্রবেশের এই সড়ক শুরু। ১৫০-২০০ ফুট এগিয়ে একটি বাংলো ঘর, ‘লালকুটির’। এর সামনে বসেই গ্রামে লোকজনের চলাচল নজরে রাখেন স্থানীয় যুবক সোহাগ, রিজেন, আলমগীর, মজিবুর, শুভন, রিয়াদ, দুলন, মামুন, জসিম, ক্যাডেট ইকরাম, রাজু, আরমান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply