শেরপুরে পৃথক ঘটনায় গৃহবধুসহ ২ লাশ উদ্ধার

|

শেরপুরের সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামে ও শ্রিবর্দীতে পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি মৎস্য খামারের নৈশ প্রহরী আব্দুর রফিক (৫২) কে একই গ্রামের প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। নিহত আব্দুর রফিক নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের খন্দকারপাড়া গ্রামের জনৈক আহাম্মদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুর রফিক শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামের চায়ড়া বিলের পার্শ্বে নূরুজ্জামানের মৎস্য খামারে নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের খন্দকারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা চলে আসছিল।

এদিকে রোববার সকালে আব্দুর রফিক নূরুজ্জামানের মৎস্য খামারে কাজ করার সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে আব্দুল বারেকের নেতৃত্বে দেশীয় ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদাম, আঙ্গুর ও সোবাহানসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী কায়দায় আব্দুর রফিকের উপর হামলা করে।

এসময় আব্দুর রফিককে ওই সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রদিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে আহত করেন এবং মৎস্য খামারের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে চলে যায়।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অপরদিকে শ্রির্বদী উপজেলার কুরিকাহনিয়া মিয়া বাড়ী থেকে আজ ভোররাতে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই সন্তানের জননী আর্জিনা বেগম-(২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের মাথায় আঘাতের দাগ থাকায় পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে।

ঘটনার পর নিহতের স্বামী বাধন মিয়া পালিয়ে যায়। তার পরিবারের দাবী এটি একটি হত্যাকান্ড। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply