বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ

|

রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ। ঢাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে বর্বর নারকীয় হামলার পেরিয়েছে ১৩টি বছর। রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, আসামিপক্ষের নানা অজুহাতে বার বার সময় নষ্ট করার কারণে চাঞ্চল্যকর মামলাটির নিষ্পত্তি হচ্ছে না। তবে চলতি বছরই রায় হবে আশা করছেন অনেকে।

অন্যদিকে মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

তদন্তে নানা ধরনের নাটকীয়তা ও ধীরগতিতে একযুগের বেশি সময়েও শেষ হয়নি মামলাটির বিচার। প্রথম দিকে জজ মিয়া নাটকের পর এক পর্যায়ে ইউটিউবে প্রচার হওয়া হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় দফা জবানবন্দির পর নাটকীয় মোড় নেয় তদন্ত।

দীর্ঘ তদন্তে উঠে আসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ২০০৪ সালে চালানো হয় ভয়াবহ এই গ্রেনেড হামলা।

পাঁচবছর পর অধিকতর তদন্ত করে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সম্পূরক চার্জশিটে বদলে যায় সব। সেখানে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর,জামায়াত নেতা সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ ৫২ জনের নাম আসে আসামির তালিকায়।

হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় সাক্ষী করা হয় ৪৯২ জনকে। পরে দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে তা কমিয়ে আনা হয় ২২৫ জনে। রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, একের পর এক অযৌক্তিক বিষয় টেনে এনে এখনও সময় নষ্ট করছে আসামী পক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী রেজাউর রহমান বলেন, দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরই রায় ঘোষণা হওয়ার সম্ভবানা আছে।

অন্যদিকে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন আসামীপক্ষ। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া বলেন, আমরা এই মামলার বিচারে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি।

২১ আগস্টের নারকীয় হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন। মামলার ১৮ আসামি পলাতক, জামিনে আছেন, ৮ জন। বাকি ২৪ জন কারাগারে। আরেক আসামি জামায়াত নেতা মুজাহিদ এবং হরকাত নেতা মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় ফাসিঁর দণ্ড কার্যকর হয়েছে।

/কিউএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply