করোনাভাইরাস: ২১ দিনের লকডাউন দক্ষিণ আফ্রিকা

|

দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আজ শুক্রবার থেকে ২১ দিনের লকডাউন করার ঘোষণা করেছেন।

সোমবার রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্য দেয়া ভাষনে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এ লকডাউনের ঘোষণা দেন তিনি। এ লকডাউন ১৬ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।

দেশে নাটকীয়ভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও সংক্রমণ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে ২১ দিন পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা লকডাউন থাকবে।

এসময় দক্ষিণ আফ্রিকান সকল নাগরিক অবশ্যই ঘরের বাইরে যাবেনা, সবাই নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করবে।

এসময় সরকার জনগণের ঘরে ঘরে খাদ্য সরবরাহ করবে। লকডাউনের সময় ঔষধের দোকান, খাবারের দোকান, জরুরী মেডিকেল টিম, পুলিশ, ট্রাফিক, সিকিউরিটি, ফায়ার বিগ্রেড, খাদ্যপণ্য সরবাহে নিয়োজিত যানবাহন, খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এটিএম খোলা থাকবে।

এছাড়া অন্য সকল দোকান ও শপিংমল বন্ধ রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আগামী ২১ দিন লকডাউনটি মেনে চলার জন্য জনগণের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান। দেশব্যাপী জনগণ যাতে লকডাউনটি মেনে চলে এটি নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি ভাষণে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য,গত এক সপ্তাহ আগে রাষ্ট্রপতি রামাফোসা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে একটি জাতীয় বিপর্যয়ের রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিলেন। ৩ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল দেশটির কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশে। শনাক্ত ব্যক্তিটি ছিল ইতালি ফেরত।

এরপর থেকে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। যা গতকাল পর্যন্ত গত ২৪ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৯২৭ জন। যার অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথম আক্রান্ত ৫ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। অন্য আক্রান্তরা যথাযথ চিকিৎসা নিচ্ছে এবং কেউ মারাত্মক ঝুঁকিতে নেই।

এদিকে করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে জোহানসবার্গ ও কেপটাউন। বর্তমানে শুধু মাত্র জোহানসবার্গে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০০ এর ওপরে। আর কেপটাউনে ২০০ এর ওপরে।

করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণে মারাত্মকভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply