সেই চীনের মাঝেই আশার আলো দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

|

যে চীন থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস, সে চীনের মাঝেই কিনা আশার আলো খুঁজে পাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও। যদিও চীনের তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সেগুলো অন্য দেশে খাটে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর বেলায়।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চীনে গত চার দিনে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত মাত্র একজন রোগী পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পরিস্থিতির বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসুসর মতে, চীনের সফলতা বাকি বিশ্বের জন্য আশার আলো দিচ্ছে।

চীনের যেসব বিষয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেগুলো হলো- কড়া অবরোধ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, মাস্ক পরিধান, কোয়ারেন্টাইন, সংহতি ইত্যাদি।

কড়া অবরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা:

গত জানুয়ারি মাসে চীন উহান শহরকে কড়াকড়িভাবে অবরুদ্ধ করে এবং এর ১ কোটি ১১ লাখ জনসংখ্যাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়। এই প্রক্রিয়া পরে অনুসরণ করা হয় পুরো হুবেই প্রদেশের জন্য। পাঁচ কোটি মানুষকে গণ–আইসোলেশনে পাঠায় দেশটি। সমগ্র দেশের মানুষকে কঠোরভাবে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। এটা করোনা মোকাবেলায় দারুণ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

মাস্ক ও সতর্কতা
করোনা পরিস্থিতিতে চীনের শহরগুলোয় ব্যাপকভাবে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবর অনুযায়ী, চীন সে সময় প্রতিদিন ১৬ লাখ মাস্ক উৎপাদন করেছে। ফলে আরও বিপুল সংখ্যক মানুষের আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে পেরেছে দেশটি। এছাড়া নাগরিকদের ফোনে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পরিস্থিতির ভিত্তিতে তাদের ‘সবুজ’, ‘হলুদ’ এবং ‘লাল’ চিহ্নযুক্ত কোড দেখানোর ব্যবস্থা করে তারা। ফলে নাগরিকরা বুঝতে পারেন তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাচ্ছেন কিনা।

সংহতি
বিশ্বের অনেক দেশ যখন পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে ভীত তখন চীনে কমপক্ষে ৪২ হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হুবেই প্রদেশে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন এবং ১৩ জন মারা যান। কিন্তু তারা স্বাস্থ্যসেবা দেয়া বন্ধ রাখেনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply