হাসপাতাল থেকে পালালেন সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত নারী

|

নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হিসেবে চিকিৎসকরা সন্দেহ প্রকাশের পর সিলেটের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন সৌদি প্রবাসী এক নারী। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের বেসরকারি নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে।

এরপর সিলেটের সিভিল সার্জন অফিসের লোকজন ওই নারীর বাসায় গিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি রাজি হননি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১০/১২দিন আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার ৭০ বছর বয়সী ওই নারী। মঙ্গলবার সকালে জ্বর নিয়ে দক্ষিণ সুরমার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। সেখানে তার লক্ষণ দেখে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। এসময় তাকে কয়েকটি পরীক্ষা করিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন তারা। কিন্তু পরীক্ষা করিয়ে আনার কথা বলে ওই নারী হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান।

করোনা সন্দেহ প্রকাশের পর নারীর উধাও হয়ে যাওয়ার খবর আসে সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। পরে সিভিল সার্জন ওই নারীর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তির অনুরোধ করেন। তবে এতে রাজি হননি ওই নারী।

এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল জানান, সৌদি ফেরত ওই নারী জ্বর নিয়ে মঙ্গলবার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তার শারীরিক বিবরণ শুনে চিকিৎসকরা তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ করে কয়েকটি পরীক্ষা করাতে বলেন। পরে ওই নারী হাসপাতাল থেকে চলে যান।

তিনি আরো জানান, হাসপাতাল থেকে বিষয়টি অবহিত হয়ে ওই নারীর বাড়িতে যোগাযোগ করি। আমরা তাকে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার জন্য শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হওয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হননি। পরবর্তীতে তাকে বাড়িতেই ‘সেলফ কোয়ারেন্টাইনে’ থাকতে বলা হয়েছে।’

সিভিল সার্জন আরও জানান, বুধবার আবারও ওই নারীর সাথে যোগাযোগ করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর চেষ্টা চালানো হবে।

প্রসঙ্গত, সিলেটের কানাইঘাটের এক দুবাইফেরত যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে গত ৪ মার্চ শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে আইসোলেশনে ছিলেন। পরে রক্তের নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। গত রোববার তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সিলেটে আসে। এরপর তাকে বাড়িতে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply