প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

|

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।

ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। কমিটির সদস্যরা হলেন সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক হোসেন ও নড়িয়া উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও শিক্ষিকার অভিযোগ সূত্র জানায়, ভেদরগঞ্জের রামভদ্রপুর ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা গৈড্ডা এলাকায় থাকেন। ওই এলাকার ২০ নম্বর গৈড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার সন্তান পড়ালেখা করে। ওই সূত্র ধরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক স্থাপন হয়। এরপর থেকেই ওই শিক্ষিকাকে প্রায়ই মুঠোফোনে উত্যক্ত করত অভিযুক্ত শিক্ষক।

গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষিকার বাসায় যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পারবারিক মর্যাদা ও হয়রানির কথা বিবেচনা করে থানায় অভিযোগ করেননি। এ ঘটনার জেরে ওই শিক্ষাকাকে তালাক দেন তার স্বামী।

ওই নারী শিক্ষক বলেন, আমি প্রতারণার শিকার। প্রধান শিক্ষকের কারনে আমার সংসার ভেঙেছে। পরে স্বজনদের পরামর্শে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তারা যদি বলেন তখন মামলা করব।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে ওই শিক্ষিকা। এটা ষড়যন্ত্র। আমি কোন অন্যায় কাজের সাথে জড়িত নই।

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির ঘটনাটি আমরা জানিনা। থানায়ও কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক শিক্ষক আরেক শিক্ষককে যৌন হয়রানি করেছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটিতে আমরা বিব্রত। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর আইনগত পদক্ষেপ নিতে থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply