বিশ্বসেরা জুটির তালিকায় নাম লেখালেন তারা!

|

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৪০.৫ ওভারে ২৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন লিটন ও তামিম। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের জুটি।

তাইতো তারা এখন শুধু দেশের ক্রিকেটেই নয়, আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে রানের দিক থেকে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ২৯২ রানের জুটি গড়েছেন তামিম-লিটন।

শুক্রবার দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে দেশের হয়ে ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৬ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলেন লিটন আগের ম্যাচে দেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। দুই দিনের ব্যবধানে সিলেট স্টেডিয়ামে তামিমের সেই রেকর্ড ভেঙে দেন লিটন।

উদ্বোধনী জুটিতে তারা ভাঙেন ২১ বছরের পুরনো রেকর্ড। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন তামিম-লিটন। তারা সংগ্রহ করেন ২৯২ রান। এর আগে ১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত ও মেহরাব হোসেন অপির উদ্বোধনী জুটি ছিল ১৭০ রানের। এর পরেও অবশ্য সেদিন বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেড়শ ছোঁয়া উদ্বোধনী জুটি হলো পাঁচটি। যার তিনটিতেই জড়িয়ে আছেন তামিমের নাম।

এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৩৭২ রানের জুটির মালিক হন ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ তারকা ব্যাটসম্যানরা ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে এ রেকর্ড করেন।

অন্যদিকে ক্যারিবীয় দুই ওপেনার শাই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল রানের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবলিনে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬৫ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন তারা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েছেন শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩১ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন তারা।

ওয়ানডেতে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটির মালিক সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়। একই বছর অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ৩১৮ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন এই দুই ক্রিকেটার।

এর আগে ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং রানের দিক থেকে পঞ্চম সর্বোচ্চ ৩০৪ রানের জুটি গড়েছিলেন।

আর আজ শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ষষ্ঠতম রেকর্ড গড়লেন তামিম-লিটন। এ রেকর্ড গড়ার পথে ১৪৩ বলে ১৬টি চার ও ৮টি দৃষ্টিনন্দন ছক্কার সাহায্যে ১৭৬ রানের ইনিংসে খেলেন লিটন দাস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। আর তামিম ইকবাল ১০৯ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস খেলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply