সৃজিত-মিথিলার বিশেষ দিন কাল

|

সাদামাটাভাবেই বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন কলকাতার নির্মাতা সৃজিত ও ঢাকার মডেল অভিনেত্রী রাফিয়াদ রশিদ মিথিলা। বিয়ের পর সুইজারল্যান্ডে চুটিয়ে হানিমুন করেন নবদম্পতি।

কলকাতায় সৃজিতে রাজকুঠিরে রেজিস্ট্রি বিয়ে হওয়ায় দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া কারও বিয়েতে থাকার সুযোগ হয়নি। তার দুই পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে যোগাযোগটা এখনও হয়ে ওঠেনি।

তাই মিথিলা-সৃজিতের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করছে দুই পরিবার। আগামীকাল শনিবার তাদের বিয়ের রিসেপশন। ইতোমধ্যে জমকালো এই আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সৃজিতের বাসায় গিয়ে হাজির হয়েছে মিথিলার পরিবার।

জানা গেছে, এদিন সৃজিত-মিথিলা সাজবেন স্নিগ্ধ সাজে। এ সাজের দায়িত্ব পড়েছে ডিজাইনার শর্বরী দত্তের ওপর।

আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি বলেন, সেদিন সৃজিত-মিথিলা এসেছিলেন। ওদের পছন্দের রঙ লাল। শুনলাম মিথিলা লাল পরছে।

সেটি মাথায় রেখেই সৃজিতের পোশাকের রঙ লাল বেছে নেয়ার কথা জানান এই ফ্যাশন ডিজাইনার। তিনি বলেন, সেদিন সৃজিত আচকান আর ধুতি পরবেন। পোশাকে থাকবে ঘন সুতার কাজ।

আর মিথিলার জন্য ওড়না দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শাড়িটা তার ভাবনায় সে পরবে।

তাদের ভূরিভোজের আমন্ত্রণপত্রেও অভিনবত্বের ছোঁয়া থাকছে বলে জানা গেছে। তাকে লেখা– বসন্ত এসে গেছে।

গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিয়ে করেন কলকাতার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও বাংলাদেশের অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। এটি তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে মিথিলার বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট। তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। মিথিলা-সৃজিতের পরিচয় হয় অর্ণবের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজের মাধ্যমে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, তার পর প্রেম।

মিথিলা-তাহসানের মেয়ে আয়রাও সৃজিতকে মেনে নিয়েছেন। সৃজিত-মিথিলা চান না আয়রা ব্রোকেন ফ্যামিলির কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে বেড়ে উঠুক। সৃজিত মিথিলার মেয়েকে নিজের সন্তানই মনে করেন।

মিথিলার বোনেরাও জামাইবাবুকে নিয়ে মেতে উঠেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার একজন, দুজন নয়; ছয় জন শ্যালিকার সঙ্গে ছবি তুলেছেন সৃজিত। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বলো না শ্যালিকা তারে/যেও না যেও না প্রিয়।’ লোকেশনে লিখেছেন ‘ঢাকা’। তবে সৃজিতের এই শ্যালিকাদের মাঝে অবশ্য তার স্ত্রী মিথিলাকে দেখা যায়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply