দিল্লিতে চলমান সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২

|

ভারতের দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি নিয়ে চলমান সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় এখনও থমথমে পরিস্তিতি জাফরাবাদ, মৌজপুর, গুরুগ্রামসহ দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। সব ধরণের সহিংসতা ঠেকাতে, জুমার নামাজকে ঘিরে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিকে দিল্লির সহিংস পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

গেলো তিন দশকে এমন ভয়াবহতা দেখেনি দিল্লিবাসী। কয়েক দিনের সহিংসতায় বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নতুন করে ছড়াতে পারে সংঘাত, সেই সতকর্তা থেকে শহর জুড়ে বাড়ানো হয় নিরাপত্তার বলয়।

নতুন করে সহিংসতার কোন খবর পাওয়া যায়নি দিল্লিতে। তবে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে গেলো চারদিনে অগ্নিগর্ভ হওয়া এলাকা গুলোতে। এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, সরকারকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য বিরোধী নেত্রীর কোন প্রয়োজন নেই। সোনিয়া গান্ধি দয়া করে আমাদের রাজধর্ম সেখাতে আসবেন না। কারণ সময় এখন শান্তি এবং ঐক্যের কথা বলার।

সংঘাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মামলা দায়ের হয়েছে। গঠন করা হয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি। এছাড়া সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষকে।

এর আগে, শহরের পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, সহিংসতায় মদদ দিয়েছে এমন কাউই রেহাই পাবে না। দিল্লির শান্তির জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি। এছাড়া প্রশাসনকে সব ধরণের নির্দেশ দেয়া আছে।

এদিকে, দাঙ্গায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ ওঠায় দলীয় নেতা তাহির হোসেনকে বহিষ্কার করেছে আম আদমি পার্টি। এছাড়া সংঘাতময় পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় রদবদল আনা হয়েছে দিল্লির পুলিশ কমিশনার পদেও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply