ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

|

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জে নারীকে ধর্ষণ মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতিত নারীকে আদায় করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার পার পাচিল গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মো. রাসেল ওরফে রবিউল (২৫), ভাটপিয়ারী গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে সোহেল (২৬), একই গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রাজ্জাক (৪৪), পার পাচিল গ্রামের সুলতানের ছেলে নাজমুল (২৪), একই গ্রামের নুরু ওরফে নুর ইসলাম (২৬) ও আলতাফ কসাইয়ের ছেলে মোমিন (৩৪)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের মৃত আবু সাইদের মেয়ে পাঁচিল গ্রামের রাসেলের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যমুনা নদীর ভাটপিয়ার চরে আসতে বলে রাসেল। প্রেমিককে বিশ্বাস করে ভাটপিয়ারী যমুনার চরে গেলে রাজ্জাক, নাজমুল, নুরু ও সোহেলকে ফোন করে ডেকে এনে ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে। এতে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আখ ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকেরা। ভোর ৪টার দিকে নির্যাতিত যুবতীর জ্ঞান ফিরে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরার পথে অপর আসামি মোমিন তাকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই যুবতী ফোন করে তার বোন ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানালে তারা অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতের ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক বাসুদেব সিনহা। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ৬ ধর্ষকের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন আদালত। আসামীদের মধ্যে সোহেল ও আব্দুল মোমিন পলাতক রয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply