তিক্ত স্বাদই পেলেন মিরাজ

|

সাকিব আল হাসান বিহীন বাংলাদেশ দলের হয়েছে নতুন সমস্যা। সাকিব নেই মানে একইসাথে একজন ব্যাটসম্যান ও বোলারের না থাকা। ফলে, ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপকে সমর্থন দিতে গিয়ে দলে খেলাতে হয় ৭ ব্যাটসম্যান। এতে ৪ বোলারের বেশি খেলানোর সুযোগ নেই বাংলাদেশের। হিসেবের ফেরে ঘরের মাঠের প্রথমবারের মতো বাদ পড়ার তিক্ত স্বাদ পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

পাকিস্তানে তিন পেসার নামানো হলেও দেশের উইকেটে সেটি যে হচ্ছে না তা অনুমিতই ছিল। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দলে থাকা রুবেল হোসেনকে স্কোয়াডেই রাখা হয়নি। ইবাদত হোসেন ও আবু জায়েদর সাথে বোলিং আক্রমণে তাইজুলের ইসলামের থাকাটা নিশ্চিতই ছিল। চতুর্থ বোলার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ নাকি নাঈম হাসানকে নেওয়া হয়, সেটাই ছিল দেখার বিষয়। শেষ পর্যন্ত নাঈমকেই বেছে নিলেন ডোমিঙ্গো। আর তাতেই ২০১৬ সালের পর ঘরের মাঠের কোনো টেস্টে বাদ পড়ার তিক্ত স্বাদ পেলেন মিরাজ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পর এমন কিছু দেখতে হয়নি। অভিষেকে ৭ উইকেটের পর পরের ম্যাচেই ম্যাচ জেতানো ১২ উইকেট। বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠছিলেন মিরাজ। দেশের স্পিনবান্ধব উইকেটে তাইজুলের সঙ্গে তার জুটি অধিনায়কদের ভরসার কারণ ছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালেও ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করার পথে মিরাজের ১৫ উইকেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। দেশের উইকেটে ১১ ম্যাচে মাত্র ২১.৪৪ গড়ে ৬১ উইকেট এই অফ স্পিনারের।

যদিও বিদেশের মাটিতে উল্টো চিত্র। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড শুসিরিজে ৪ ইনিংসে পেয়েছেন মোটে ৪ উইকেট। পরে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভালো করলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় পেসবান্ধব উইকেটে গিয়ে মাথা কুটে মরেছেন। পচেফস্ট্রুমে ২ ইনিংস মিলিয়ে ২৪৭ রান দিয়েও কোনো উইকেট না পেয়ে বাংলাদেশের হয়ে বাজে বোলিংয়ের তিক্ত রেকর্ডও গড়েছেন। বিদেশের মাটিতে সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচে ২৯ উইকেট। বোলিং গড় ৫৭.৬৮!

চান্দিকা হাথুরুসিংহের স্পিনবান্ধব উইকেট স্ট্রাটেজি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন রাসেল ডোমিঙ্গো। ফলে দলে টিকে থাকতে হলে নতুন অস্ত্রই খুঁজে বের করতে হবে মিরাজের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply